বিদেশী প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ওপর নির্ভরতা অবসানের অঙ্গীকার এরদোয়ানের

(বিদেশী প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ওপর নির্ভরতা অবসানের অঙ্গীকার এরদোয়ানের–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিদেশী প্রতিরক্ষা সামগ্রীর ওপর থেকে তুরস্কের নির্ভরতা অবসানের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে এমন অঙ্গীকার করেন তিনি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দেশকে বিদেশ নির্ভরতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত না করা পর্যন্ত আমরা প্রতিরক্ষা শিল্পে আমাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবো।’
তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রি না করায় পশ্চিমাদের সমালোচনা করেন এরদোয়ান। তিনি বলেন, তারা একদিকে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আড়ালে হাজার হাজার ট্রাক ও বিমানে মাধ্যমে সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করছে। অন্যদিকে তুরস্কের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে চাহিদা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা সামগ্রী না পেয়ে তুরস্ক নিজেই উন্নতমানের প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন শুরু করে। কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজানের জয়ে তুর্কি ড্রোনের বড় ধরনের ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়। লিবিয়াতেও হাফতার বাহিনীকে ঠেকাতে আঙ্কারার শরণাপন্ন হয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এরদোয়ান সরকার পশ্চিমা অস্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে দেশটি এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ড্রোন উৎপাদনকারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তুর্কি কোম্পানী বেয়কার তাদের উৎপাদিত ড্রোন আজারবাইজান, ইউক্রেন, কাতার ও লিবিয়ার কাছে বিক্রি করেছে। মার্চে এরদোয়ান জানান, সৌদি আরবও তুর্কি ড্রোন সংগ্রহের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত মে মাসে ন্যাটোভুক্ত প্রথম কোনও দেশ হিসেবে তুরস্কের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন কেনার ঘোষণা দেয় পোল্যান্ড। (সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.