বিজেপি নেতাদের দলে দলে তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে যা বললেন রাহুল

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে আগে দলে দলে তৃণমূল নেতারা যোগ দিয়েছিলেন দেশটির হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপিতে। কিন্তু মমতার দৃঢ় নেতৃত্বে ভূমিধস জয়ের ফলে পাশা এবার পাল্টে গেছে। দলে দলে বিজেপির নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসে দলে দলে এ যোগদান শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয় বিভিন্ন রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য রাজ্যগুলোতে ভারতীয় কংগ্রেসসহ অন্য দল থেকেই তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটি তৃণমূলের জন্য যেমন সুসংবাদ তেমনই বিজেপির জন্য ভয়াবহ দুঃসংবাদ। 
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বিজেপির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুকুল রায়ের পর আরেক নেতা সব্যসাচী দত্ত তৃণমূলে যোগদান নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিংহা।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গল থেকে সব পশুপাখি ধরে আনলে সেটা পোষ মানে না। আর এটা সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত। আমি মনে করি পাপ যত বিদায় হয় ততই ভালো। এটাই বিজেপির সমস্ত লোক চাইছিল, যাচ্ছে না কেন?’
মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই আশা করেছিলাম গুরু মুকুল যখন চলে গিয়েছে তখন  চলে যাবে এটাই ভেবেছিলাম। যাচ্ছে না কেন আমি মনে করি এটাই আমাদের অস্বস্তি বাড়াচ্ছিল। আজকে চলে যাওয়ার পরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।’
তবে এখানেই প্রশ্ন উঠছে বিজেপি নিজ উদ্যোগে তথাকথিত ‘পাপ’ বিদায় করছে না কেন? কেনই বা ভোটের আগে এই ‘পাপ’দেরই জামাই আদর করে দলে ডেকে এনে টিকিট দেওয়ার ব্য়বস্থা করেছিল? বিজেপির নীচুতলাতেও এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, বরাবরই মুকুল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সব্যসাচী। গত কয়েকদিন ধরেই তার তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনাটা চলছিল।
গত বছরেও ইজেডসিসিতে বিজেপির উদ্যোগে আয়োজিত দুর্গাপুজোয় অন্যতম সক্রিয় ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। আর ঠিক পুজোর মুখেই সেই সব্যসাচীই ফের চলে গেলেন তার পুরানো ঘর তৃণমূলে।
তৃণমূল মন্ত্রিসভার দুই হেভিওয়েট সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও ফিরহাদ হাকিম সব্যসাচী দত্তকে তৃণমূলে বরণ করে নেন। পুজোর আগেই কার্যত ঘর খালি হল বিজেপির। সব্যসাচী জানিয়েছেন, কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য তিনি তৃণমূল ছেড়েছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.