বিশেষ প্রতিনিধি:বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বিজিবি দেশের সিমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি নিয়মিত মাদক, জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারীসহ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার (০৪ অক্টোবর) ২০২১ ইং তারিখ দুপুরের দুকে টেকনাফে পৃথক পৃথক ভাবে অভিযান চালিয়ে দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধার পূর্বক মাদক পাচারের কাজে জড়িত ছয় জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন বিজিবির একটি চৌকস ইউনিট। এ সময় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ও মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর রুবাইয়াৎ কবীর ও উপ-পরিচারক লেফটেন্যান্ট এম মুহতাসিমবিল্লাহ শাকিল।
অধিনায়ক ফয়সল জানান, সোমবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-০৩ থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মিস্ত্রিপাড়া ঘাট এলাকায় নাফ নদীর মোহনা দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান বাংলাদেশে পাচার হতে পারে। এতে সেখানে বিশেষ টহলদল অবস্থান নেয়। পরবর্তী সময়ে সন্দেহভাজন একটি ইঞ্জিনচালিত মাছ ধরার ট্রলার দেখলে তল্লাশি করা হয়। ট্রলারে অবস্থানরত পাঁচ জেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তেলের ট্যাংকের ভেতরে অভিনব পদ্ধতিতে ফিটিং অবস্থায় দুই কোটি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের ৯০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
তিনি জানান, একইদিন দুপুরে মো. করিমের বাড়িতে তল্লাশি করে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। আসামিদের ও জব্দ করা ইয়াবা নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও ট্রলার এবং মাছ ধরার জাল টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.