বিক্ষোভের মুখে কর পরিকল্পনা থেকে সরছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দেশবাসীকে কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতো বলেছেন, কর বৃদ্ধির বিতর্কিত আর্থিক বিল প্রত্যাহার করবেন তিনি। দেশজুড়ে প্রাণঘাতী বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পর তিনি এই সিদ্ধান্ত জানালেন।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রেসিডেন্ট বলেন, “এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এই বিলে কেনীয়দের কোনও সায় নেই। আমি বশ্যতা স্বীকার করে নিচ্ছি।” বিলটিতে সই করে তা আইনে পরিণত করবেন না বলেও জানান তিনি।
কেনিয়া সরকারের নতুন কর আইনের বিরুদ্ধে রাজধানী নাইরোবিতে মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে হিসাব দিয়েছে ‘কেনিয়া ন্যাশনাল কমিশন অন হিউম্যান রাইটস’ (কেএনএইচআরসি)।
বিক্ষুব্ধ জনতা এদিন পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর করার চেষ্টা চালালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি ছুড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতার পার্লামেন্ট ভবনে চড়াও হওয়ার পর এর একাংশে আগুন দেখা গেছে।
ওই সময় কেনিয়ার আইনপ্রণেতারা ভেতরে বসে কর বাড়ানোর বিল পাস করছিলেন। বিলটি পাসের পর তা প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানোর কথা ছিল। প্রেসিডেন্ট বিলে সই করলেই তা আইনে পরিণত হত। কিন্তু জনতার বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট তা না করারই সিদ্ধান্ত জানালেন।
এরই মধ্যে জীবনযাত্রা ব্যয় সংকটে থাকা কেনীয়রা দেশে কর বাড়ানোর বিরোধিতা করছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতোর পদত্যাগও দাবি করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারী, ইউক্রেইন যুদ্ধ, টানা দুই বছরের খরা এবং মুদ্রার অবমূল্যায়নসহ বেশ কয়েকটি ধাক্কায় সৃষ্ট অর্থনৈতিক দুরবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে কেনীয়রা।
এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকার ঋণের বোঝা কমাতে কর অতিরিক্ত ২৭০ কোটি ডলারের বেশি বাড়ানোর বিল অনুমোদন করে। রুটি, রান্নার তেল, গাড়ি এবং আর্থিক লেনদেনের মতো কিছু ক্ষেত্রে সরকার নতুন কর আইনে কিছু ছাড় দেয়। কিন্তু তা বিক্ষোভকারীদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.