নিজস্ব প্রতিবেদক: এক অনাম্বর পরিবেশে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পবা-মোহনপুর আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট শফিকুল হক মিলন তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। এ সময়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। আমরা যেমন মনোনয়নপত্র নিজে দাখিল করতে পারলাম। কিন্তু বেগম জিয়া নিজে আসতে পারেননি। তাঁর জন্য দোয়া চান তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বিজয়ের মাসে গত ২৫ডিসেম্বর দেশে এসেছেন। তিনি এসেই মানুষের মানুষের প্রত্যাশা পুরনের জন্য নানা ধরনের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সেগুলো নিজ নিজ এলাকায় যথাযথভাবে পালন করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, রাজশাহী পিছিয়ে পবা-মোহনপুরবাসী, যারা এখন বেকার আছেন। যে সকল কৃষক তাদের কৃষিপন্যের ন্যায্যমূল্য পায়না এবং কৃষিকাজের বীর ও সারসহ অন্যান্য সরবরাহ সঠিকভাবে পায়না তাদের জন্য কাজ করবেন। বাড়িতে যে সকল মা-বোনেরা আছেন পরিবারে তাদের আরো গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী করার জন্য নারীদের নামে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হবে। সেইসাথে শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা, চতুর্থ শ্রেণি হতে খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা ও পবা-মোহনপুরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন রাস্তাঘাট, সকল শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। আর এজন্য জনগণের সহযোিগতা কামনা করেন।
মিলন বলেন, বিগত দিনের মত একপেশে নির্বাচন বিএনপি করতে চায়না। এজন্য সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান। অতিতে যেভাবে সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছেন, সেভাবেই সহযোগিতা কামনা করেন। তারেক রহমান ঐতিহাসিক জনসমাবেশে সব কিছু পরিস্কার করেছেন।
তিনি বলেছেন কোন প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা নয়। তবে সব কিছু মনে রেখে আগামীতে কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন বলে জানান তিনি। লেভেল প্লেইং ফিল্ড এর সম্পর্কে তিনি বলেন, কিছু কিছু অফিসার আছেন তারা এখনো পতিত সরকারের আদলে একটি দলের হয়ে কাজ করছে। আগামীতে তাদের চিন্থিত করা হবে। ১৯-২০ হলে কোন সমস্যা নাই। তবে ১৮-২০ হলে দেশের জনগণ মেনে নেবেনা বলে জানান তিনি। এখনো সময় আছে তাদের সংশোধন হওয়ার। সবার অধিকার সমান করা হবে উল্লেখ করে সবাইকে আবারো সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
এ সময়ে তাঁর সঙ্গে ছিলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও পবা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা বিএনপির সদস্য ও নওহাটা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র শেখ মকবুল হোসেন, জেলা সদস্য মোহাম্মদ মহসিন ও সদর উদ্দিন, রাজশাহী জর্জ কোর্টের পিপি ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এডভোকেট আলহাজ¦ আলী আশরাফ মাসুম এবং রাজশাহী বার সমিতির সাধারণ এডভোকেট জমসেদ আলী।
আরো উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী, মোহনপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামিমুল ইসলাম মুন, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আর রশিদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন সরকার, পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, আব্দুস সালাম মাস্টার ও আব্দুল মান্নান মুন্নাফ, নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার, কেশরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আলাউদ্দিন আলো, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক খুশবুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা ও ফরিদুল ইসলাম সাহেব, ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। #















