বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, বিব্রত খুলনার শীর্ষ নেতারা

খুলনা ব্যুরো: সরকার বদলের পর থেকেই খুলনার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, চাঁদাবাজী, ভাংচুর, অগ্নি সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। নগর বিএনপির কার্যালয়ে এজন্য জমেছে অভিযোগের পাহাড়।
অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে পৃথক ডেস্ক খোলা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলছেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে নগরীসহ জেলার রূপসা, পাইকগাছার কোন কোন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও।
তবে যারা আগের সরকারের আমলে তৎকালীন সরকারের অনুসারী কারও কারও আস্থাভাজন ছিলেন তাদেরকেই এখন আবার বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন কোন নেতার সাথে থেকে এসব অপকর্ম করতে দেখা গেছে।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন হাফিজ নগর এলাকায় গত ৫ আগষ্টের পর একাধিক বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। যার সাথে একজন হত্যা মামলার আসামীর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। ওই হত্যা মামলার আসামী আবার ওয়ার্ড যুবদলের এক নেতার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রয়েছেন। ওই যুবদল নেতার বিরুদ্ধেও এর আগে রয়েছে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল দখলের অভিযোগ।
সম্প্রতি নগর বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর সোনাডাঙ্গার মোঃ শাওন হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কয়েক নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। ওই অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির একজন সাবেক সাধারণ সম্পাদকের নাম যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে আরও একাধিক ব্যক্তির নাম।
ওই সাবেক সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি একটি স্যুয়ারেজের ২৫ টন রড চুরিরও অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে ওয়ার্ড যুবদলের একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধেও রয়েছে রড চুরির সহযোগিতার অভিযোগ। এছাড়া অপর একজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধেও রয়েছে বড় বাজারের একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদাদাবির অভিযোগ। ভুতের আড্ডা নামের একটি পার্কের এসি পর্যন্ত খুলে নেয়া হয় সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে। এসব বিষয়ে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারাও অনেকটা বিব্রত।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেন, অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে, সরকার বদলের পর থেকে এ পর্যন্ত খুলনায় যে মামলাগুলো হয়েছে তার আসামী করা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষ করে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট)  ফুলতলায় শেখ হাসিনাসহ যে চারশ’ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে সেই মামলার আসামী থেকে বাদ যাননি ব্যবসায়ী এমনকি জামায়াত নেতাও। যা নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছে নগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতার দাবিকৃত চাঁদা দিতে না পারায় ইচ্ছামত মামলার আসামী করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.