নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ সতের বছরে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। সেইসাথে কমেছে কলকারখানা। অনেক কারখানা বন্ধ হওয়ায় বেড়েছে বেকারত্ব। শুধু তাইনয় পতিত সরকার তার নেতাকর্মী আইন শৃংখলাবানীর কিছু সদস্যদের দিয়ে দেশে মাদকের সম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন। এতে করে যুব সমাজ নষ্ট হতে বসেছে। একদিকে বেকার অন্যদিকে মাদকের ছোবলে বিপর্যস্ত দেশ। শুধু তাইনয় আমরা বলি নারী স্বাধীনতা হয়েছে। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। এখনো নারীরা পরিবারে মতামত দিতে পারেনা। দিলেও প্রায়ই সেটা অগ্রাহ্য করা হয়।
এজন্য বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আগে যুবসমাজকে বাঁচাতে দেশকে মাদকদুক্ত এবং যুবসমাজ ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
সারা দেশের ন্যায় পবা-মোহনপুরকেও একই অবস্থায় নিয়ে আসা হবে বলে শনিবার সন্ধ্যায় যুবদল নওহাটা পৌরসভা শাখার আয়োজনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুবদলের কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং পবা-মোহনপুর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যুবকরা হচ্ছে একটি দেশের প্রাণ শক্তি। এই শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথমেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। কিন্তু এই নির্বাচন বানচাল ও পেছানোর জন্য একটি দল নানা কৌশল করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু ঐ দল আবার ছয় মাস পূর্বে নির্বাচন করার জন্য প্রার্থী মনোনয়ন শেষ করেছে। শুধু তাইনয় এখন তারা বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলাম মেয়ে ও নারীদের দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ঠিক করার নামে সেগুলোর ফটোকপি এবং নম্বর নিয়ে নিচ্ছে। এগুলো নিয়ে তারা নানা ধরনের অপকৌশল অবলম্বন করছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। কোন অপরিচিত ব্যক্তি বাসাবাড়িতে যেয়ে এগুলো চাইলে না দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মিলন বলেন, বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। আর ধানের শীষ হচ্ছে জনগণের প্রাণের প্রতিক। এজন্য এই প্রতিক যখন ক্ষমতায় আসে জনগণ তখন শান্তিতে থাকে। দেশে উন্নয়নের জোয়ার আসে। এজন্য আগামী নির্বাচনে ধানের শীষকে বিজয়ী করে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী ও দেশের উন্নয়নে অংশিদার হতে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
নওহাটা পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লার সভাপতিত্বে এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুবুল আলম সুমন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর বিএনপি সাবেক সভাপতি ও নওহাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ্ব শেখ মকবুল হোসেন, নওহাটা পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর সরকার জেড, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংগঠনিক সম্পাদক-১ সাইদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক-২ মিজানুর রহমান মিজান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুর রহমান শরিফ, জেলা যুবদলের সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি, নওহাটা পৌর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান, মমিনুল ইসলাম মিলন, আজাদ সরকার, মাহাবুব রহমান, মতিউর রহমান মতি ও শামীম হোসেন।
এছাড়াও নওহাটা পৌরসভার সকল ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক, সদস্য সচিবসহ পাঁচশতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। #















