বিএনপি-আওয়ামী লীগও চায় এরশাদের সমাধি রংপুরের পল্লী নিবাসে হোক

রংপুর ব্যুরো:  জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট কিংবদন্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমাধি রংপুরের পল্লী নিবাসে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতারা।

সন্ধায় রংপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান লাকু বিটিসি নিউজকে জানান, এরশাদ একজন বর্নিল রাজনীতিবিদ। তিনি ওছিয়ত করে গেছেন রংপুরের পল্লী নিবাসে যেন তার সমাধি হয়। আমরা বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীরাও চাই এই সাবেক প্রেসিডেন্টকে সমাহিত করা হোক। এখানে তার সমাধি করা হলে রাজনীতিতে রাজধানী কেন্দ্রিক যে প্রচলন আছে, তাও বিকেন্দ্রিকরণ হবে।

অপর দিকে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিলন বিটিসি নিউজকে জানান, এরশাদ দেশ বিদেশে একজন আলোচিত রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশের একজন ক্ষমতাধর রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনিে যহেতু ওছিয়ত করে গেছেন তার সমাধি পল্লী নিবাসে করার জন্য। আমরাও চাই তার সদাশি রংপুরে হোক।

প্রসঙ্গত: গত ২৬ জুন জ্ঞান হারিয়ে রাজধানীর সিএমইচএ ভর্তি চিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। রোববার সকাল পৌনে আটটায় সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার প্রতিটি জনপদ।

এরশাদের পারিবারিক নিবাস রংপুর শহরের সেনপাড়ায় স্কাইভিউতে হলেও তিনি নিজে জমি ক্রয় করে রংপুর শহরের দর্শনায় মহাসড়কের পাশে দেড় একর পল্লী নিবাস নামে তার নিজস্ব আবাসন তৈ্ির করেন।রংপুরে সফরে আসলে তিনি সেখান থেকেই রাতযাপনসহ সকল রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। গত বছর অক্টোবর মাসে পল্লী নিবাসের পুরোনো স্থাপনা ভেঙ্গে একটি আধুনিক বাড়ি নির্মানও শুরু করেন তিনি।  বাড়িটির নির্মান কাজ প্রায় সমাপ্তির পথে। পল্লী নিবাসের পাশেই তিনি পিতার নামে মকবুল হোসেন মেমোরিয়াল ডায়াবোটিকস হাসপাতাল ও ডায়াগোলোস্টিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে স্বল্পমুল্যে অসহায় মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দেয়া হয়। পরবর্তীতে জায়গাটি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাঁর সন্তান এরিখ এরশাদের নামে বন্দোবস্ত করে দেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রংপুর ব্যুরো প্রধান সরকার মাজহারুল মান্নান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.