বিএনপির ৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের মামলা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ফেস্টুন ছিড়ে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে দেয়ার অভিযোগে আটক জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলামসহ ৬৫ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল ২৮ আগস্ট রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট দায়ের করেন। এদিকে এই মামলার আসামী গ্রেফতার হওয়া হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহিন তালুকদারকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে গতকাল রবিবার বিকাল ৪টার দিকে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ হাফিজুল ইসলামকে আদালতে সোর্পদ করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়-বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফাঁসির দাবিতে সৈনিক লীগ হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ফেস্টুন স্থাপন করে। তাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত ছিল।
গত ২৪ আগষ্ট বুধবার বিকাল অনুমান ৬টার সময় হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অফিসের সম্মুখে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম এই ফেস্টুনটি ছিড়ে ফেলেন।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রকিব মাখন, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম গোলাপ,জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিরুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেন,জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি ও নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোশাহিদ আলম মুরাদ, রিয়াজ সারফিন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহম্মেদ রিংগন, সহ সভাপতি রায়হান বেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহবুব, আব্দল আহাদ তুষার, জি কে ঝলক, গোলাম আজম চৌধুরী ওয়াকি, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অলিউর রহমান, হবিগঞ্জ পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম সাজন,বানিয়াচং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন ফারুক, নবীগঞ্জ পৌর যুবদলের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম সোহেল, জেলা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মহিনুর ইসলাম পাপ্পু, হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ আশরাফ আহম্মেদ, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাজমুল হক অনি, এম এ মতিন, আমিনুর ইসলাম ফয়সাল, সরাজ মিয়া, রুবেল মিয়া, আব্দুর রহমান রাসেল, জাহিদুল ইসলাম সাগর, কাউছার মিয়া, বিশাল মাহমুদ বিল্লাল, ইয়াজ উদ্দিন রাসেল, জহির লক্ষর, শরীফ আহমেদ ঠাকুর, শেখ সুহেল আহমদ, মোশারফ আল মামুন, এমরান হোসেন, ফখরুল ইসলাম, শেখ শিপন, অলিউর রহমান, আবুল কালাম মিন্টু, অনিবার্ন নাগ, হুমায়ুন মিয়া, নুরুল আমীন, মিলন মিয়া, পারভেজ মিয়া, ডা. শফিকুল ইসলাম, রফিক মিয়া, রাসেল, শাহাব উদ্দিন, মিজান মিয়া, মারুফ আহম্মেদ, জামিল চৌধুরী, হোসাইন মোঃ রফিক, মোজাম্মেল মিয়া, রিয়াজ আহমেদ, জনি পাঠান সহ আরও অজ্ঞাত ৬০ জন।
এদিকে ছাত্রদল নেতা হাফিজুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করার খবর পেয়েই ছুটে যান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ। এ সময় তিনি দলীয় সকল আইনজীবিকে নিয়ে আইনী সহায়তা দেন এবং জামিনের বিষয়ে আইনজীবিদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জি কে গউছ বলেন- মিথ্যা মামলা, হামলা করে বিএনপিকে থামিয়ে রাখা যাবে না।
বিনাভোটের ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের জেল জুলুম নির্যাতনের ভয় উপেক্ষা করেই আমরা ইনশাআল্লাহ নিশিরাতের আওয়ামীলীগ সরকারের পতন নিশ্চিত না করে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়বে না। সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে হলেও সরকার বিরোধী আন্দোলনে আমরা মাঠে থাকবো।
তিনি এই মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন- আওয়ামীলীগের পায়ের নীচে মাটি নেই। জনবিরোধী অপকর্ম ও লুটপাটের কারণে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী-এমপিরা এখন জনবিচ্ছিন্ন। তাই প্রশাসনের উপর ভর করে আওয়ামীলীগ দেশ চলাচ্ছে। আইন শৃংখলা বাহিনী ছাড়া আওয়ামীলীগ অচল। তারা রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে মিথ্য মামলা দিয়ে পুলিশ লেলিয়ে দেয়। এভাবে আর আওয়ামীলীগ ঠিকে থাকতে পারবে না। জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্ছার হয়ে উঠছে। একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়েই শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত হবে। কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানান।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি মোঃ আলাল মিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.