বিএনপির শাসনামলে গণতন্ত্র ছিলনা, ছিল বন্দুকতন্ত্র কসবায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আইনমন্ত্রী 

বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: কসবায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপির শাসনামলে কোন গণতন্ত্র ছিল না, ছিল বন্দুকতন্ত্র। তখন কোন ভদ্র লোক কথা বলতে পারতেন না। প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে খুন হত।
বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার। গণতন্ত্র বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র চর্চা করে, রয়েছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। আজ সোমবার (০৪ জানুয়ারী) বিকালে কসবা আর্দশ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথির হিসাবে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় এ কথাগুলো বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অর্থায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। খালেদা জিয়া ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি মুজাহিদ-নিজামীরা বাংলাদেশকে প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল।
সেখান থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন এবং তাঁর নেতৃত্বে ৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে।
বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখেছে।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেশে ফিরে আসেন। সেই থেকে দেশের উন্নয়নের পথে চলা শুরু হয়।
কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মর্মান্তিক হত্যার পর উন্নয়নের ধারা শেষ হয়ে যায়। স্বৈরাচারী সরকারগুলো দেশকে ভিক্ষুকের দেশ, স্বৈরতন্ত্রের দেশ, আইনের শাসনবিহীন দেশে পরিণত করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করা।
জননেত্রী শেখ হাসিনা দল ও দেশের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে। যেই বাংলাদেশ একদিন সারাবিশ্বের কাছে ভিক্ষুকের দেশ, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ, একটা ঝড়-বৃষ্টির দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল।
সেখান থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। স্বাধীনতার এই ৪৯ বছরের মধ্যে তার নেতৃত্বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছেন।
কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এম.জি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূইয়া বকুল, যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযুদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি মোঃ লোকমান হোসেন পলা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.