বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে ওসিকে ফোন করেও সহযোগিতা পায়নি স্কুল ছাত্রী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: বাল্যবিয়ে মুক্ত লালমনিরহাটে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে এক স্কুল ছাত্রী স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও তা পায়নি। ওই মেয়েটি বাল্যবিয়ে থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে পালিয়ে দুই দিন ধরে বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের উওর ধুবনী গ্রামের হাজির মোড় এলাকায়।
জানা গেছে, হাতীবান্ধা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীর ওই স্কুল ছাত্রীকে গত শুক্রবার রাতে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন তার বাবা-মা। উপায় না পেয়ে মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক বান্ধবীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে ওই বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে রাতেই হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলমকে ফোন করে সহযোগিতা চান ওই ছাত্রী।
গতকাল শনিবার সকালে হাতীবান্ধা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম জি মোস্তফা ও সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকেও বিষয়টি জানান। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে প্রশাসনের তেমন কোনো সহযোগিতা পায়নি এমন অভিযোগ ওই স্কুল ছাত্রীর।
ওই মেয়ের বাবা-মা বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিতেই পারি। তাতে তো কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, রাতে ফোন পেয়ে আমি ওই মেয়ের বাবার সাথে ফোনে কথা বলেছি। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে মেয়ের বাবা মাকে আরো কাউন্সিলিং করতে হবে।
হাতীবান্ধার ইউএনও সামিউল আমিন বিটিসি নিউজকে বলেন, বাল্যবিয়ে থেকে মেয়েটিকে রক্ষা করতে আমি তার বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছি। তাদের কথাবার্তা স্বাভাবিক নয়। এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.