বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক:ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রতিভাবান ফুটবলার ইউসুফ আহমেদ বার্মিংহাম সিটি ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশাদার চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। ফুটবলার হামজা চৌধুরীর পর এটি তার নিজের, পরিবারের এবং গোটা ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশি তরুণদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুপ্রেরণা।
ফুটবলের প্রতি গভীর আগ্রহ, অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রমের ফলেই ইউসুফ এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন। তৃণমূল পর্যায়ে খেলার সময় থেকেই তার প্রতিভার খোঁজ মেলে। এরপর ১৬ সপ্তাহব্যাপী একটি সফল ট্রায়ালে গোল করার অসাধারণ দক্ষতা দেখিয়ে নজর কাড়েন তিনি। সেখান থেকেই শুরু হয় তার বার্মিংহাম সিটির স্কলারশিপ প্রোগ্রামে যাত্রা, যার পরিণতিতেই আসে এই পেশাদার চুক্তি।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর অনুভূতি জানতে চাইলে ইউসুফ বলেন, এটি তার জীবনের ‘অবিশ্বাস্য ও অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত’। তিনি বলেন, ‘আমার মতো ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে উঠে আসা কেউ পেশাদার ফুটবলে পৌঁছানো খুব সহজ নয়। তাই এই অর্জন শুধু আমার নয়, এটি পুরো ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্যও এক বড় অর্জন। আশা করি, এটি অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।’
বার্মিংহাম সিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইউসুফ বিশেষভাবে উল্লেখ করেন ক্লাবের সহযোগিতার বিষয়টি, বিশেষ করে রমজানের সময় তার ধর্মীয় অনুশীলনের প্রতি ক্লাব ও একাডেমির বোঝাপড়া তাকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ইউসুফ তার প্রধান শক্তি হিসেবে বল নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতাকে তুলে ধরেন। তিনি ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৮ পিডিএল বিজয়ী দলের সদস্য, যে মৌসুমকে তিনি গর্বের সঙ্গে ‘অপরাজেয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে জানান, ক্যাটাগরি-১ একাডেমিতে উন্নীত হয়ে উচ্চমানের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে খেলার চ্যালেঞ্জ নিতে তিনি প্রস্তুত।
বার্মিংহাম সিটির সঙ্গে ইউসুফ আহমেদের এই চুক্তি শুধু তার নিজের ক্যারিয়ারের মাইলফলক নয়, বরং ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির উদীয়মান প্রতিভাদের জন্যও এক উজ্জ্বল বার্তা- উৎসর্গ, পরিশ্রম ও প্রতিভা এক হলে সাফল্য অনিবার্য। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.