বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক:খালি চোখে এক ঝলকে বুঝতে পারার কথা নয় অনেকের। তবে গোলকিপারের মনোযোগ তো থাকে বলের দিকেই। থিবো কোর্তোয়া তাই ঠিকই বুঝতে পারছিলেন, হুলিয়ান আলভারেসের শটে কোনো একটা ঝামেলা হয়েছে। রেফারিকে গিয়ে তিনি জানান সেটা। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হয়েছে। তবে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমেওনে, তাতে বেজায় চটেছেন রেয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার।
আলভারেস শট নিয়েছেন ডান পায়ে। গোলও করেছেন। কিন্তু ভিএআর দেখ রেফারির সিদ্ধান্ত, ডান পায়ে শট নেওয়ার আগে আতলেতিকো মাদ্রিদের ফরোয়ার্ডের বাঁ পা আলতো করে ছুঁয়ে দিয়েছে বল।
দুইবার বলে স্পর্শ করায় নিয়ম অনুযায়ী, বাতিল করা হয় গোল। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে রেয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের পর থেকে অবশ্য আলভারেসের এই বাতিল গোল নিয়ে চলছে বিতর্ক। আতলেতিকোর কাচ দিয়েগো সিমেওনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তবে রেয়ালের গোলকিপার কোর্তোয়া জানালেন, তিনি ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন তখনই।
“দিনশেষ, পেনাল্টি তো লটারির মতো। সে (আলভারেস) পিছলে পড়েছিল এবং বলে দুবার স্পর্শ করেছে। এটা গোল হতে পারে না। কারণ, বলে দুইবার স্পর্শ করা যায় না। তার ভাগ্য খারাপ। কিন্তু নিয়ম তো নিয়মই।”
“আমি বুঝতে পেরেছিলাম। যদিও এত দ্রুত সবকিছু হয়েছে, নিশ্চিত ছিলাম পুরোপুরি। তবে কিছু একটা হয়েছে, তা উপলব্ধি করতে পারছিলাম। এজন্যই রেফারিকে গিয়ে বলি। তারা নিশ্চিত হয়েছেন, বলে দুইবার স্পর্শ করেছে সে।”
আতলেতিকো কোচ সিমেওনে এটা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কোর্তোয়াকে খবরটি জানাতেই অবশ্য তেতে উঠলেন এই গোলকিপার।
“উয়েফার দিক থেকে ব্যাপারটি পরিষ্কার। এই ধরনের শিকার খোঁজার চেষ্টা দেখতে দেখতে বিরক্তি লাগে এখন, সবসময়ই এভাবে কান্নাকাটি করতে থাকে। রেফারি তো স্পেনে বা ইউরোপে কোনো দলকে সুবিধা দিতে চায় না। তাদের কাছে এটা পরিষ্কারই ছিল। প্রযুক্তির সহায়তায়, ভিএআর কক্ষে বসে তারা দেখেছে স্পষ্টভাবে। অনেক ক্যামেরা ও ভিডিও ফুটে তাদের আছে।”
গোটা ম্যাচে রেয়াল মাদ্রিদের পারফরম্যান্স অবশ্য ছিল হতাশাজনক। ভিনিসিউস জুনিয়র পেনাল্টিতে ব্যর্থ না হলে হয়তো নির্ধারিত ৯০ মিনিটেই খেলা শেষ হতে পারত। এছাড়াও ম্যাচজুড়ে বেশ ছন্নছাড়া ছিল চ্যাম্পিয়নদের পারফরম্যান্স।
কোর্তোয়াও তা মেনে নিলেন অকপটে। বড় বাধা উতরাতে পেরেই স্বস্তি পাচ্ছেন ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা এই গোলকিপার।
“আমরা জানতাম, ওদের মাঠে এসে কাজটা কঠিন হবে। প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে থাকলেও সেটা যথেষ্ট নয়, এই ধারণা আমাদের ছিল। আমরা ভালো খেলতে পারিনি। মৌসুমের সবচেয়ে বাজে ম্যাচগুলির একটি খেলেছি। তার পরও আমরা আঁটসাঁট থাকার চেষ্টা করেছি, রক্ষণে ভালো করেছি। শেষ পর্যন্ত পরের ধাপে যেতে পেরেছি, এটিই গুরুত্বপূর্ণ।” #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.