বাফুফের আপিল কমিটিতে বিকেএসপির শাস্তি তুলে নেয়া প্রসঙ্গে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ দুপুরে বিকেএসপিতে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত বাফুফের আপিলক মিটির সভায় বিকেএসপির উপর অর্পিত শাস্তি তুলে নেয়া প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিকেএসপির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক সৈয়দ মো: মোতাহের হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানিয়ে শুরু করেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ঢাকা মহানগরি ৩য় বিভাগ অ-১৭ ফুটবল লিগে চকবাজার কিংস ক্লাব বিকেএসপি’র সাথে ২০২১-২২ মৌসুমের জন্য চুক্তি বদ্ধ হয়। এ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন বিকেএসপির ফুটবল কোচ মো: রবিউল ইসলাম।
পরবর্তীতে লিগে চকবাজার কিংস নামধারী বিকেএসপি দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়ার গৌরব অর্জন করে।
উল্লেখ্য, কিংস ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিকেএসপির ৪ জন খেলোয়াড়ের বয়স বেশি হওয়ার কারনে নাম পরিবর্তন করে খেলার ব্যবস্থা করে। এরপর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত বসুন্ধরা গ্রুপ ২য় বিভাগ ফুটবল লিগ ২০২২-২৩ মৌসুমে বিকেএসপি দল অংশ গ্রহণ করে। এ সময় বাফেুফে বিকেএসপি কর্তৃপক্ষকে ৩ জন খেলোয়াড়কে না খেলানোর জন্য পত্র প্রেরন করে।
সে মোতাবেক তাদেরকে খেলা থেকে বিরত রাখা হয় এবং বাফুফে বিকেএসপির তিন খেলোয়াড়কে (মো: তাসিন সাহেব, ইহসান হাবিব রিদওয়ান এবং মো: রিফাত কাজী) কারন দর্শানোর নোটিশ করে।
উল্লেখ্য, মহানগরি লিগ কমিটি বিকেএসপির খেলোয়াড় মো: ইকরামুল ইসলামকে বৈধ খেলোয়াড় হিসেবে খেলার অনুমতি প্রদান করলে ইকরামুল আরামবাগের বিপক্ষে খেলায় অংশ গ্রহণ করে। ফলে আরামবাগ কর্তৃপক্ষ ইকরামুলের বিরুদ্ধে ৩য় বিভাগে নাম পরিবর্তন করে খেলার বিষয়টি বাফুফের নিকট ২৪/১১/২০২৩ তারিখ প্রতিবাদ দাখিল করে।
এর প্রেক্ষিতে বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটি বিকেএসপি ফুটবলদলকে এক বছরের জন্য বাফুফের সকল কার্যক্রম হতে বিরত এবং এক লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এছাড়া বিকেএসপির সিনিয়র কোচ (ফুটবল) মো: শাহীনুল হক ও কোচ (ফুটবল)মো: রবিউল ইসলামকে এক বছরের জন্য বাফুফের সকল কার্যক্রম হতে বিরত এবং ২৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করে।
পরবর্তীতে বিকেএসপি ০৭/১২/২০২৩ তারিখ বাফুফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলে বাফুফে গত ২৮/১২/২০২৩ তারিখে আপিল কমিটির সভায় বিকেএসপি ফুটবল দলের উপর থেকে অরোপিত শাস্তি তুলে নেয় এবং বিকোসেপির সিনিয়র কোচ মো: শাহীনুল হকের শাস্তিও তুলে নেয়া রসিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বিকেএসপির মহাপরিচালক মনে করেন এ ধরনের ঘটনা বিকেএসপি ও বাফুফের মধ্যকার ভুল বোঝা বুঝির ফলে সৃষ্টি হয়ে ছিল এবং বিকেএসপির আপিলের মাধ্যমে দুই পক্ষের ভুল বোঝার অবসান হয়েছে।
আগামীতে বিকেএসপির খেলোয়াড়রা যাতে আরও স্বচ্ছতা বজায় রেখে ফেডারেশন আয়োজিত প্রতিযোগিতা গুলোতে খেলতে পারে সে দিকে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলে জানান।
উক্ত ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে মহাপরিচালক অভ্যন্তরিন তদন্ত চলমান থাকার বিষয়টি অবগত করেন এবং তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিকেএসপি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আশরাফুজ্জামান / সাভার-ঢাকা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.