বান্দরবানপ্রতিনিধি: বান্দরবানে পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের। এখনও শহরে বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও সুপেয় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) পর্যন্ত টানা সাত দিনের বৃষ্টিতে বান্দরবান শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ বসতবাড়ি, সরকারি অফিস, বাসভবন, বাজার ও আশ্রয়কেন্দ্র ডুবে গেছে। অনেকেই আশ্রয় না পেয়ে বাড়ির ছাদে মালপত্রসহ রাত কাটিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবানের ফায়ার সার্ভিস, বনবিভাগ, এলজিইডি, এসপি অফিস, প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জজকোর্ট, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, পুলিশ সুপারের বাসভবন ও বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ডুবেছে সরকারি অফিস ও বাসভবন। এ ছাড়া সড়কে কোমর সমান পানি হওয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জনসাধারণের। এবারের বন্যা অতীতের সব বন্যাকে হার মানিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।
এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমে যাওয়ায় মেম্বার পাড়া, কালাঘাটা, বালাঘাটা, হাফেজঘোনাসহ বিভিন্ন এলাকার উঁচু অংশের পানি নেমেছে। তবে নিচু এলাকা এখনও পানির নিচে ডুবে আছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আর্মিপাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার বাড়িটি আজ চার দিন ধরে পানির নিচে। মালপত্রও বের করতে পারিনি। কোনোরকমে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের বের করতে পেরেছি। এখন আমার আর কিছু নেই।
মেম্বার পাড়ার আজিজ বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার বাসার পানি নেমেছে ভোরের দিকে। ভেতরে যা ছিল সবই নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বিটিসি নিউজকে বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন তাদের সবসময় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত খাবার ও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বান্দরবানপ্রতিনিধি মো: আলাউদ্দিন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.