বান্দরবানে অপহরণের পর আ’লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা

বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের সদর উপজেলায় অপহরণের পর আওয়ামী লীগকর্মী ক্যচিং থোয়াই মারমাকে (২৮) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

আজ রোববার ভোররাতে সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের চার নম্বর রাবার বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ক্যচিং থোয়াই মারমা (২৮) রাজবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকর্মী ছিলেন। তিনি তাউ থোয়াই মারমার ছেলে এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইম্রা অং মারমার ছোটভাই।

স্থানীয়রা বিটিসি নিউজকে জানান, সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের চার নম্বর রাবার বাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ক্যচিং থোয়াই মারমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

এর পর তাকে ৫নং রাবার এলাকায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করে তারা।

সকালে রাবার বাগানে কাজ করতে গিয়ে স্থানীয়রা একটি মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন।

পুলিশ আজ রোববার নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্য অংপ্রু মারমা বিটিসি নিউজকে বলেন, ক্যচিং থোয়াই আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। তার ভাই সাইম্রা অং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

এদিকে আওয়ামী লীগকর্মীকে হত্যার জন্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তবে জেএসএস জেলা সভাপতি উছোমং মারমা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

বান্দরবান সদর থানার ওসি (তদন্ত) এনামুল হক ভূঁইয়া বিটিসি নিউজকে জানান, অপহরণের পর একজনকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছি। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত চলতি মাসের গত ৯ মে রাবার বাগান এলাকায় সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে।

এর দুদিন আগে ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সহযোগী সংগঠন যুব পরিষদের কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে এবং পুরাধন তঞ্চঙ্গা নামের আরেকজন কর্মীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতের এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.