বাদ পড়ার পেছনে ‘অন্য কাহিনি’ দেখছেন রাহী

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সবশেষ খেলেছেন ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে। বাদ পড়ে যান দ্বিতীয় ম্যাচের একাদশ থেকে। তবে এরপর দলের সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। কিন্তু চার ম্যাচের একটিতেও মাঠে নামা হয়নি ডানহাতি পেসার আবু জায়েদ রাহীর।
এবার হুট করেই স্কোয়াড থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হলো ২৮ বছর বয়সী এ পেসারকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের দলে রাখা হয়নি রাহীকে। তার জায়গায় গতিময় পেসার হিসেবে স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন তরুণ ডানহাতি রেজাউর রহমান রাজা।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় রাহীকে বিবেচনায় রাখেননি তারা। তবে দেশের বাইরে সুইং-মুভমেন্ট পাওয়া যায় এমন কন্ডিশনে সবসময়ই বিবেচনায় থাকবেন তিনি। কিন্তু এই ব্যাখ্যা ঠিক মানতে পারছেন না রাহী।
কেননা দেশের হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শেষ দুই টেস্টে ১০টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যা তার ক্যারিয়ারের এক-তৃতীয়াংশ উইকেট। সবমিলিয়ে পুরো ক্যারিয়ারে নিয়েছেন ১৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট। এর মধ্যে মিরপুরেই শেষ দুই ম্যাচে নিয়েছেন ১০টি।
তাই বাদ পড়ার পেছনে অন্য কাহিনি থাকার সন্দেহ করছেন রাহী। সোমবার ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে তিনি বলেছেন, ‘এই গতি নিয়েই আমি মিরপুরে শেষ দুই টেস্টে ১০ উইকেট নিয়েছি। আমার মনে হয় না গতি কোনো ইস্যু। এখানে অন্য কোনো কাহিনি থাকতে পারে।’
রাহী আরও যোগ করেন, ‘এই গতি নিয়েই আমি ১৩ ম্যাচে ৩৪ (আসলে ৩০) উইকেট নিয়েছি। আমি জানি না কোথা থেকে হঠাৎ করে এই গতির বিষয়টি চলে এলো।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কোনো ম্যাচ না খেললেও গ্যারি কারস্টেনের অ্যাকাডেমিতে নিজের বোলিং নিয়ে কাজ করেছেন রাহী। সেখানের কোচরাও গতির ব্যাপারে কিছু বলেননি জানালেন তিনি। সুইং থাকলে এই গতি দিয়েই ভালো করা সম্ভব বলে পরামর্শ দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচরা।
রাহীর ভাষ্য, ‘এখনকার দিনে শুধুমাত্র পেস দিয়ে কিছু হয় না। কেপটাউনে গ্যারি কারস্টেনের অ্যাকাডেমিতে কাজ করার সময় পেস বোলিং কোচ আমাদের বলেছেন যে, যদি ১৩০ কিমি গতি দিয়েও সুইং করাতে পারি তাহলে বাড়তি গতির প্রয়োজন নেই। এটিই ১৪০ কিমির গতির কাজ করতে পারে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.