সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বেলকুচি উপজেলার বেলকুচি চর, চরবেল, ক্ষিদ্রচাপরী, আজগড়া, রতনকান্দীসহ অত্র চরাঞ্চল ঘুরে সারিবদ্ধ বাদাম ক্ষেতের এমন চিত্র দেখে মন ভরে যায়।
বড়ধুল ইউনিয়নের ক্ষিদ্রচাপরী এলাকার বাদাম চাষি তারেক মিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে জমিতে বাদাম চাষ করেছি,বাদাম গাছ খুবই ভালো হয়েছে। চরাঞ্চলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমনের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো।
বেলকুচি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান,যমুনা চরাঞ্চলে বন্যায় আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি পুষে নেওয়ার জন্য বাদাম চাষিদের বেলকুচি উপজেলা থেকে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে,আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫ হেক্টর।
চলতি বছরে ৮৭হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাদামের ফলন আসতে ১৩০ থেকে ১৫০ দিন সময় লাগে। বাদামের চাষ বেলে-দোআঁশ মাটিতে ভালো ফলন হয়। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন পাবেন এ অঞ্চলের কৃষক।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.