বাজেয়াপ্তের পর অচল ৯টি বিমান নিলামে বিক্রির উদ্যোগ সিভিল অ্যাভিয়েশন’র

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পড়ে থাকা ১২টি উড়োজাহাজ নিয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছে কর্তৃপক্ষ। বাজেয়াপ্তের পর নিলামের মাধ্যমে বিক্রি কিংবা ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে নয়টি ডি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। তবে মালিক খুঁজে না পাওয়ায় এশিয়ান এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ নিয়ে বেঁধেছে বিপত্তি।

বছরের পর বছর ধরে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের অ্যাপ্রন এরিয়া দখল করে আছে বেশ কয়েকটি উড়োহাজাজ। এসব উড়োজাহাজের মধ্যে বেশির ভাগই বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সের।

এর মধ্যে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ৮টি, জিএমজি এয়ারলাইন্সের ১টি, এশিয়ান এয়ারলাইন্সের ১টি ও রিজেন্ট এয়ারওয়জের ২টি। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও উড়োজাহাজ পার্কিং সংকটের কারণে বারবার চিঠি দেয়ার পরও এয়ারলাইন্সগুলো সাড়া না দেয়ায় এই ১২টি বিমানের মধ্যে সম্প্রতি ৯টি বিমান ডি-রেজিস্ট্রেশন করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, এরই মধ্যে ডি-রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এগুলো বাজেয়াপ্ত করা হবে। তারপর নিলামে তোলা হবে। যেগুলো নিলামে তোলার অযোগ্য সেগুলো ধ্বংস করা হবে। বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালুর রাখার স্বার্থে এগুলো সরাতেই হবে বলে জানান তিনি।

আপাতত ১১টি উড়োজাহাজ সরিয়ে নতুন টারমার্কে রাখা হয়েছে। তবে বারবার হাতবদল হওয়া এশিয়ান এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।

এ প্রসঙ্গে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান জানান, এশিয়ান এয়ারওয়েজের ওই বিমানটার অবস্থা খুব একটা ভালো না। চাকা বসে গেছে। এটা সরাতে হলে ওই কোম্পানির সহযোগিতা লাগবে। কিন্তু তিনি জানেন না এটির মালিকানা ঠিক কোন সংস্থার কাছে আছে।

তাই তিনি সিভিল অ্যাভিয়েশন কোয়ার্টারে ফ্লাইট স্টান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন যেন বিমানটির মালিকানা কার তা নিরূপণ করে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন।

এদিকে করোনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়া রিজেন্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানবন্দরে পড়ে থাকা তাদের ২টি উড়োজাহাজই নিবন্ধিত। খুব শিগগির মেরামত বা বিক্রি করে দেয়া হবে।

এ ছাড়া ডিসেম্বরে ফ্লাইট চালুর প্রত্যাশা জানিয়েছে বিমান সংস্থাটি। বিমান পরিবহন সংস্থাটির উপদেষ্টা আশীষ রায় চৌধুরী জানান, তাদের দু’টি এয়ারক্রাফট বিমানবন্দরের অ্যাপ্রন এরিয়ায় রয়েছে। একটির ইঞ্জিন আসছে। ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো চালু করা হবে আর তা না হলে এগুলো বিক্রি করে দেয়া হবে।

রিজেন্টসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর কাছে সিভিল অ্যাভিয়েশনে বকেয়া পাওনা প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.