বাগেরহাটে ভোররাতে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, ৯৯৯-এ ফোন, আটক-১২

বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে জমি দখলে নিতে ভোররাতে সুশান্ত দাস (৩৮) নামের এক শিক্ষকের বাড়িতে সংঘবদ্ধ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ফুলতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জীবন বাঁচাতে ওই শিক্ষক ৯৯৯-এ ফোন করেন। এছাড়া হামলার শিকার শিক্ষক পরিবারের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করে। পরবর্তীতে ওই শিক্ষকের মামলায় পুলিশ আটক ১২ জনকে গ্রেফতার করে।
হামলাকারীদের মারধরে শিক্ষক সুশান্ত দাস, তার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী কনিকা দাস (২৮), ভাই বিশ্বজিত দাস ও শুকদেব দাস, নিকট আত্মীয় রিংকি দাসসহ আহত হয়েছেন পাঁচ জন। এদের মধ্যে সুশান্ত দাস ও কনিকা দাস বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
হামলার শিকার সুশান্ত দাস ফুলতলা পশ্চিমপাড়া গ্রামে অনিল চন্দ্র দাসের ছেলে এবং আনার ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আটককৃতরা হলেন- আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদার (৪৫), বেনজীর আহমেদ (৪৯), ফেরদাউস হাওলাদার (৩৩), নুর নবী (২১), হাফিজ হাওলাদার (৪০), আবু হানিফ খান (৩৬), মো. সাকিব ফকির (২০), সাফায়েত মোল্লা (৪১), মাহতাব খান (২৩), আব্দুল গাফফার শেখ (৪৪), মোতালেব খান (৬০), শামীম শেখ (১৯)। আসামিদের বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
আহত শিক্ষক সুশান্ত দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই বাড়িতে বসবাস করে আসছি। কিন্তু আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদার কয়েক বছর ধরে আমাকে জমি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চালাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইবুন্যালে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেন। সেই মামলা চলমান রয়েছে। কিন্তু আজ ভোররাতে হঠাৎ করে আছাদুজ্জামান ওরফে টিপু হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৯/২০ জনের একটি দল আমাদের উপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি, আমার স্ত্রীসহ পাঁচ জন আহত হয়েছি। হামলাকারীরা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বেশকিছু মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। আমি এই হামলার বিচার চাই।
আছাদুজ্জামান কেন জমি দাবি করছে- এমন প্রশ্নে সুশান্ত দাস বিটিসি নিউজকে বলেন, সদর উপজেলার চুলকাঠি এলাকার বাসিন্দা আমার মামা মৃত অরুন দে নাকি তাকে আমাদের ৫৫ শতক জমির পাওয়ার দিয়ে গেছেন। সেই কারণে আছাদুজ্জামান এই জমি দাবি করেন। কিন্তু আমার বসত বাড়ির মধ্যে মামা অরুণ দে-র কোনো জমি নেই। তাই পাওয়ার দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে অভিযান চালিয়ে আমরা ১২ জনকে আটক করেছি। এই হামলার ঘটনায় ওই শিক্ষক আটক ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.