বাগমারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই চালক রোগীর ভোগান্তি


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও অ্যাম্বুলেন্সের চালক সংযোজন ও চালক নিয়োগ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলার ৪ লক্ষাধিক মানুষকে। অনেক সময় জরুরী রোগীর সেবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার আউট সোর্সিং এ নিয়োগ প্রাপ্ত একমাত্র ড্রাইভারে উপর ভরসা করতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাজে কখনও ওই ড্রাইভার বাইরে গেলে রোগী নিয়ে বিপাকে পড়েন রোগি ও তার স্বজনরা।
জানা গেছে, বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দু’টি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে অ্যাম্বুলেন্সের চালক সংযোজন ও চালক নিয়োগ না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স একটি নষ্ট হয়ে পড়েছে। অপর অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হলেও তার নির্ধারিত চালক না থাকায় রোগী ও তার স্বজনরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় নতুন আরও বছরের পর বছর ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে অ্যাম্বুলেন্স গুলো চালক নিয়োগ না থাকায় অ্যাম্বলেন্স অযতœ আর অবহেলায় নষ্ট হবার উপক্রম হয়ে পড়ছে । ফলে রোগী আনা-নেয়ায় ২৪ ঘণ্টা সময় দিতে হিমশিম খাচ্ছে মুমূর্ষু রোগীর স্বজনদের ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, একটু রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে একদিকে যেমন অ্যাম্বুলেন্সগুলো অচল হওয়া থেকে রক্ষা পেত, অন্যদিকে রোগীরাও পেত জরুরি সেবা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের মকসেদ আলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থার অবনতি ঘটে। ডাক্তারের পরামর্শে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া জরুরী। এতে ড্রাইভার না থাকায় ঘটে বিপত্তি।
পরে বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পুরাতন অ্যাম্বুলেন্স নষ্টের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের হস্তক্ষেপে নতুন একটি অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার পরে একজন সরকারী চালক পাওয়া যায় সেই সময়। কিছু দিন পরে তিনি অবসর নিয়ে চলে যান। এর পর থেকে পদটি শুন্য থাকায় চালক নিয়োগ না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক না থাকার কারণেই এমন দশা চলছেই।
এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: গোলাম রাব্বানী বিটিসি নিউজকে জানান, বিশাল উপজেলা আমরা স্বাস্থ্য সেবা দিতে সব সময় ব্যস্ত থাকি। এর মধ্যে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠাতে আমাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে বিপদাপন্ন হয়ে অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে বাইরে থেকে তাদের এ সেবা নিতে হচ্ছে। আমার ব্যক্তিগত জীব গাড়ি চালক ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের এখানে কোনো ড্রাইভার নেই। একা রোগী আনা-নেয়ায় সব সময় সম্ভব হয়ে উঠে না তার। এতে মারাত্মক অসুবিধা হয় রোগীর। অ্যাম্বুলেন্স আছে চালক নেই। বিষয়টি আমি সিভিল সার্জন স্যারকে জানিয়েছি। তবে বিষয়টির দ্রুত সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.