বাগমারা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের একদিন পরেই অবৈধ ঘোষণা, পরে জেলা কমিটিও বিলুপ্ত


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহী বাগমারায় একদিন পরেই বাগমারা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাগমারা উপজেলা উপজেলা ছাত্রলীগের ৯ সদস্যের একটি কমিটি অনুমোদন দেন।
সম্মেলন ছাড়াই ১১ বছর পর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়। এক বছর মেয়াদি কমিটি পরে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করবে বলেও জানানো হয়েছিল। কমিটির সভাপতি করা হয়েছিল আবদুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল হোসেনকে। প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটির অনুমোদনের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়।
পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন দলের নেতা-কর্মীরা। কমিটির সভাপতি নিয়ে সমালোচনা না হলেও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে বির্তকের সৃষ্টি হয়। তাঁকে সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মী চেনেন না এবং নামও শোনেননি। প্রভাবিত হয়ে এবং সাধারণ সম্পাদকের পাশের গ্রামের বাসিন্দা হওয়ার কারণে তাঁকে পদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সম্মেলন নিয়ে বির্তকৃত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে বাগমারা উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ তদন্তে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের পক্ষে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা ছিলেন কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তুর্য,উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস ও সহ-সম্পাদক তানভীর আব্দুল্লাহ। তাঁরা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনে জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে তাঁদেরকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া ছাড়াও জেলা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ।
কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে জেলা কমিটি বিলুপ্তের কথা জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বাগমারা উপজেলা শাখার যে কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয়েছে যা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।’
কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সভাপতি আবদুর রউফ এ প্রতিবেদককে বলেন, কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নিয়েছেন। পদ বড় বিষয় না, একজন মুজিব সৈনিক ও ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে থাকবেন বলে মন্তব্য করেন।
রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার নেতার সিদ্ধান্ত সব সময়ের মতোই আমার কাছে শিরোধার্য। আমৃত্যু কর্মী পরিচয়েই থাকবো।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.