বাগমারায় বিধিবহির্ভূত পুকুর লিজের ঘটনায় ইউএনওর বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় বিধিবহির্ভূতভাবে পাঁচটি পুকুর লিজ দেওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
গত বুধবার (২৫ আগস্ট) ২০২১ ইং সিনিয়র সহকারী জজ মারুফ আল্লাম এ অদেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের কৌঁসুলী মোছা. শাহিন আরা খাতুনের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার কাতিলা গ্রামে সর্বসাধারণের ব্যবহারের পাঁচটি পুকুর রয়েছে। যেগুলো কৃষিজমিতে সেচকাজের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়।
২০১৮ সালে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকারি বিধি তোয়াক্তা না করে ওই পাঁচটি পুকুর লিজ দিয়ে দেন। এতে করে স্থানীয়রা ভোগান্তিতে পড়েন।
পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষে সিদ্দিকুর রহমান’সহ কয়েকজন বাগমারা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ‘প্রতিনিধিত্ব মূলক মামলা’ দায়ের করে ইউএনওর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চান। পরে বুধবার ইউএনওর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। সেই সঙ্গে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর মামলার চূড়ান্ত শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ইউএনওর বিরুদ্ধে এর আগেও আদালত অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে ছিলেন। তারপরও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইউএনও পুকুর গুলো লিজ দেন এবং লিজ নেওয়া ব্যক্তিরা পুকুর দখল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের কারণে ২০২০ সালের শেষ ভাগে কাতিলা গ্রামের স্থানীয়রা বাগমারা আদালতে লঙ্ঘনের আরেকটি মামলা (ভায়োলেশন মামলা) দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) শরিফ আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজকে বলেন, বাগমারায় জলমহালের ওপর যে রেজিস্টার বই আছে সেটা দেখেই এ লিজ প্রদানের সিদ্ধান্ত গুলো গৃহীত হয়। তবে কাতিলা গ্রামের ওই পাঁচটি পুকুরের বিষয়ে আমার জানা ছিল না। আদালত থেকে যদি এমন নির্দেশনা এসে থাকে তবে অবশ্যই আমাদের উপজেলা প্রশাসন থেকে লিজ গুলো বাতিল করা হবে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে একেবারেই অবগত নই। আদালত থেকেও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার নথিও হাতে পাইনি। এ সম্পর্কে জেনে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান (ডিসি)।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.