বাগমারায় প্রার্থীর ঘোষণা নিয়ে আ’লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে আহত-৬


বাগমারা প্রতিনিধি: আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ নিয়ে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত ৬। এতে প্রাথী ঘোষণাকারী আওয়ামী লীগের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি আলামিন হোসেন (৪২) এর উপর উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার জান মোহাম্মদের নির্দেশে তাঁর লোকজন হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে চেয়ারম্যান সরদার জান মোহম্মাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আলামিন হোসেন স্থানীয় খুঁজিপুর বাজারের এক চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় কয়েকজন যুবক তাঁকে ঘিরে ধরেন। তিনি কেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চাচ্ছেন এমন প্রশ্ন তুলে বাকবিতÐায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে তাঁরা দোকানের সামনে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পিটুনি ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাঁকে অচেতন অবস্থায় ফেলে যুবকেরা চলে যান।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় কিছু লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলামিনের ওপর নির্মমভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। আলামিন এক সময় চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদের ক্যাডার হিসাবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। তবে কোনো কারণে মনোমালিন্যের জন্য এবার তিনি চেয়ারম্যান হিসাবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
আহত আওয়ামী লীগ নেতার ভাই হেলাল উদ্দিন বিটিসি নিউজকে বলেন, তাঁর ভাই গুরত্বর আহত। এখনো আলামিনের চেতনা ফিরেনি। আলামিন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করায় তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
অপর দিকে চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বিটিসি নিউজকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একটি শালিসি বৈঠক চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে রক্ষিতপাড়া গ্রামের আছিরের ছেলে আল-আমিন বিশ্বাস হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে পরিষদে উপস্থিত হন। ওই সময় বাহার আলী নামের এক ইউপি সদস্যের সাথে কথা কাটা-কাটি হয় আল-আমিন বিশ্বাসের। পরে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়।
পরে চেয়ারম্যানকে আল-আমিন বিশ্বাসের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ছুতিকাঘাতের শিকার হয় ৫ জন সাধারণ লোকজন সহ আ’লীগের নেতাকর্মীরা। পরে স্থানীয় লোকজন হামলাকারী আল-আমিন বিশ্বাসকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এ সময় উত্তেজিত জনতার হাতে আহত হয় আল-আমিন বিশ্বাস।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বিটিসি নিউজকে বলেন, খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চায়ের দোকানে রাজনীতিক বিষয় নিয়ে আলাপ করার সময় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষ মামলা করেতে আসেনি। মামলা হলে দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.