বাগমারায় পটাশ সার সংকটে আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা

ফাইল ছবি
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় সরকারের ভর্তুকি মূল্যে পটাশ সার না পেয়ে মহাসংকটে পড়েছে বাগমারার আলু চাষীরা। এক শ্রেণীর অসাধু সারের ডিলার বাজারের সার সংকটের ধুয়া তুলে সার বাইরে থেকে বেশি দাম আমদানী করা হয়েছে বলে প্রচার করে কৃষকদের কাছে থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন।
এই পরিস্থিতিতে ন্যায্য মূল্যে সার না পাওয়ায় কৃষকরা বেশী দামেই কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। অনেকে বাজারে পটাশ না পেয়ে ভিন্ন সার প্রয়োগ করছেন। এতে করে আলু চাষে বিঘœ ঘটছে। তবে স্থানীয় কৃষি অফিসের দাবি উপজেলায় পটাশ সারের বরাদ্দ কম থাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। অচিরেই পটাশ সারের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বর্তমানে রবি মওসুমের প্রধান ফসল আলু বীজ রোপনের উপযুক্ত সময়। আলুচাষে ফসফেট, ইউরিয়ার সঙ্গে একান্ত প্রয়োজন পটাশ সার। অন্যান্য সার পাওয়া গেলেও উপজেলায় পটাশ সার সংকট দেখা দিয়েছে। দুই একটি খুচরা দোকানীর কাছে ওই সার পাওয়া গেলেও তার অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি চলছে। এখন জমিতে আলুচাষের উপযুক্ত সময়ে হলেও আলু চাষীরা তাদের চাহিদা মত সার জোগাড় করতে ডিলারদের দোকানে দোকানে ধর্না দিয়েও সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। এই অবস্থায় বাগমারায় এবার আলু চাষের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিযেছে।
ভবানীগঞ্জ বাজারে সার ক্রেতা বালানগর গ্রামের হেলাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, পটাশ সার ক্রয় করতে গেলে ডিলাররা সার নেই বলে জানাচ্ছেন। তবে বাজার গুলোর ছোট ছোট দোকানে স্বল্প পরিমান পটাশ সার দেখা মিলছে। দোকানীদের ভাষ্য মতে তারা অন্য উপজেলা হতে বেশী দামে সার ক্রয় করে এনে বিক্রি করছে। এতে করে তাদের সামান্য লাভ হচ্ছে। তাতে কিছুটা হলেও কৃষকদের উপকারে আসছে।
উপজেলার কয়েকটি বাজারের ছোট সার দোকানীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, উপজেলায় পটাশ সার না পেয়ে উপজেলার বাইরের বাজার হতে ৭৫০/- টাকা দামের সার ১০০০/- টাকা ক্রয় করতে হয়েছে। এছাড়া বেশী দামে সার বিক্রির কারণ জানতে চাইলে তার বলেন, বাইরে থেকে বেশি দামে সার আমদানিতে খরচা বাড়ছে। এ কারণে বেশি দামেই সার বিক্রি করা হচ্ছে বলে তারা দাবি করছেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৫ জন সার ডিলার রয়েছে। এসব ডিলারদের অধিকাংশের গোপন গোডাউন রয়েছে তারা বেশী দাম নিতে ওই সব গোডাউনের সার রাতের অন্ধকারে বাজারে বেশী দামে ছাড়ছেন বলে কৃষকরা াভিযোগ করেছেন। কৃষকের দাবি মওসুমের আলু বড় ধরনের ফসল। পরিমিত পটাশ না হলে আলুচাষের খরচ ঠিকই হবে। কিন্তু ফলন কম হলে তাদের লোকশানের পরিমান বেড়ে পথে বসতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বাগমারা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, উপজেলার কৃষকদের প্রয়োজন মত সব সার রয়েছে। উপজেলায় পটাশ সারের বরাদ্দ কম। কৃষকদের প্রয়োজনীয় সারে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ডিলারদের অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির সুযোগ নেই। কৃষি অফিসের সহকারী কৃষি অফিসার ও তিনি স্বয়ং ডিলারদের তত্বাবধানে সার বিক্রি ও মনিটরিংয়ের কাজ চলছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.