বাগমারায় ঔষুধ ফার্মেসীর ধর্মঘটে জনগনের দুর্ভোগ চরমে

ছবি: সৈয়দ নাবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাগমারায় মানুষের ব্যবহৃত ঔষুধ ফার্মেসী গুলো ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছে রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা। ঔষুধ না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বাগমারা এলাকার জনসাধারন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রোববার বিকেলে রাজশাহী শহরের লক্ষীপুর মোড়ে সিদ্দিকা ফার্মেসীতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল। সিদ্দিকা ফার্মেসীর নিবন্ধনের মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ফার্মেসীর মালিকের ১৫ হাজার টাকার জরিমানা করেন। জরিমানা করার পর পরই বিষয়টি বাগমারা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের ফার্মেসীর মালিকগন এক জোট হয়ে সকল ঔষুধের দোকান বন্ধ করে দেয়। ঔষুধের দোকান গুলো বন্ধ হওয়ার কারনে এলাকার অসুস্থ ব্যক্তিরা চরম বিপাকে পড়ে।
ভবানীগঞ্জ ফার্মেসী মালিক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল রাজশাহীর লক্ষীপুর এলাকায় সিদ্দিকা ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার টাকা আদায় করেছে। ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোন ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে জোর পূর্বক জরিমানা আদায় করতে না পারে সেই জন্যই আমরা আমাদের ফার্মেসীর দোকান গুলো বন্ধ করে দিয়েছি। প্রশাসন বিনা নোটিশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাহলে তারা অনিদিষ্ট কালের জন্য ফার্মেসী গুলো বন্ধ ঘোষনা করবে বলে জানিয়েছেন। ফার্মেসী মালিকদের ধর্মঘটের কারনে বাগমারায় চরম দুর্ভোগ পৌহাতে হচ্ছে রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনদের। ঔষুধ ফার্মেসীর মালিকগন ধর্মঘটের ডাক দিলেও উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তাকে দেখা যায়নি। ঔষুধ ফার্মেসীর মালিকগন ধর্মঘটের ডাক দিলে ভবানীগঞ্জ বনিক সমিতির সদস্যরাও তাদের সাথে মত পোষন করেন। তারা অবিলম্বে প্রশাসনের হটকারীতা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দাবী জানান। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন, ভবানীগঞ্জ বনিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম হেলাল, ফার্মেসীর মালিক আব্দুল বারী, মাজেদুর রহমান, হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.