বাগমারায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৮৭ জন

বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন আজ রোববার অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে ৩৬০২ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৮৭ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। সকল কেন্দ্রে নকল মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা হয়েছে।

তবে করোনার ভাইরাসে দীর্ঘ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীরা পড়া লেখায় অমনোযোগীতে বোর্ড কর্তৃক নির্দেশনায় পরীক্ষায় উত্তর কম দিতে হলেও পুরানো স্টাইলে পুরা বইয়ের প্রশ্নের উত্তর খোঁজতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা বিড়াম্বনায় পড়ে বলে পরীক্ষার্থীরা দাবি করেছেন। প্রশ্ন পত্রে কয়টির উত্তর ও সময় সূচি না থাকায় প্রশ্ন নিয়ে নানা অভিযোগ করছেন পরীক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বাগমারার ১১টি কেন্দ্রে ৩৬০২ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। এতে ভবানীগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩৩ জন এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৫ জন, মচমইল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৫৪ জনই উপস্থিত, হাট গাঙ্গোপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫১২ জন এর মধ্যে ৩ জন অনুপস্থিত, সালেহা ইমারত গালর্স একাডেমীতে ৪৩৫ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৩ জন, তাহেরপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭০ জন এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ২ জন, তাহেরপুর রিভার ভিউ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৪৪ জনই উপস্থিথ ছিলেন, ভবানীগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৩১৬ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৭ জন, তাহেরপুর ফাজিল মাদ্রাসায় ২০৯ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ৫ জন, বাড়ীগ্রাম দাখিল মাদ্রাসায় ৩০২ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১১ জন, ভবানীগঞ্জ কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা কলেজে ৪৩২ জনের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ২৫ জন এবং হাটগাঙ্গোপাড়া বিএম কারিগরি কলেজে ২৯৫ জনের মধ্যে ১৬ জন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে আসেনি।
চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট অংশ গ্রহন করছে ৬ হাজার ৯ শত ৩০ জন পরীক্ষার্থী।
এদিকে মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় দেড় ঘন্টা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা হয়েছে এক ঘন্টা। ভবানীগঞ্জ মাদ্রাসা ও ভবানীগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের কয়েকজন পরীক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে। তবে প্রশের ধরন পুরো বই থেকে নেয়া। এতে করে কম প্রশ্নের উত্তর দেয়ার নির্দেশনা ও প্রশ্ন পত্রে নম্বরের মান নিয়ে তাদেরকে বিড়াম্বনায় পড়তে হয়েছে।
ভবানীগঞ্জ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম জানায়, প্রশ্ন পত্রে কয়টির উত্তর ও সময় সূচি না থাকায় প্রশ্ন নিয়ে বিপাকে পড়েন। পরে শিক্ষকদের নির্দেশনা অনুযায়ী জানতে পারলেও পুরা প্রশ্নের উত্তর সে দিতে পারেনি।
একই ভাবে কেন্দ্রে আসা কয়েকজন অভিভাবকদের সাথে কথা হলে তারা জানান, মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে অর্ধেক সময়ে নেয়া হয়েছে পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার প্রথম দিনে মানষিক ভাবে প্রস্তুতি নিলেও পরীক্ষার হলে পশ্ন পত্রের ধরন দেখে বিড়ম্বনায় পড়েন পরীক্ষার্থীরা। করোনা ভাইরাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হবার কারণে পাঠ সম্পূর্ণ না হবার কারণে প্রশ্ন বিষয়ে ধারণা কম থাকায় তাদের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে অবিভাবকরা মত প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.