বাগমারার ১৬ ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে পঞ্চম ধাপে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ শেস হয় বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে পুরুষের তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতির হার বেশি।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে লাইনে দাঁড়িয়ে লোকজন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় ভোটারের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল সকাল নারী ভোটাররা উপস্থিত হয়েছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেড়েছে।
সরেজমিন উপজেলার শ্রীপুর ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে বেলা ১২টার দিকে সেখানে পুরুষ ভোটারদের চেয়ে মহিলা ভোটারে সংখ্যা বেশী দেখা যায়। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুরুষ ইউনিটে ১৯১৮ জন ও মহিলা ইউনিটে ১৯৩২ জন ভোটার সংখ্যা।
এই কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ খাঁনের (আনারস মার্কা) কোন এজেন্ট ছিল না। কয়েকজন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনের ১০/১৫ দিন আগে থেকে নৌকার প্রার্থী আলমগীর সরকার ও তার নেতাকর্মীরা এই এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিদ খাঁনকে রামরামা এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এলাকায় তার কোন পোষ্টারও রাখতে দেয়া হয়নি। ভোটের দিনে ভোট কেন্দ্রে তার সমর্থকদের আসতে বাধা দেয়া হয়েছে। ভয়ে কোন সমর্থক এজেন্ট হতে যায়নি। ফলে ওই কেন্দ্রে কোন এজেন্ট ছিল না স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মজিদ খাঁনের। তবুও নির্বাচনে আব্দুল মজিদ খাঁনের বিজয় হবার সম্ভবনা আছে বলে তার সমর্থকরা দাবি করেছেন।
শ্রীপুর ইউনিয়নের চাঁইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আজাদ আলী নামে এক সদস্য প্রার্থী অভিযোগ করেন তার ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে প্রতি পক্ষের বহিরাগত তাহেরপুর ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি তুহিন ও তার সহযোগীরা বাধা সৃষ্টি করছে। বাধার কারণে তার সমর্থক ও ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারছে না। বেলা ১১টার দিকে বাগমারা প্রেস ক্লাবের সদস্যটিম ঘটনা স্থলে গেলেও প্রতিপক্ষের অপকর্ম স্বচক্ষে বাধা দেয়ার দৃশ্য দেখতে পায়। বিষয়টি আইন শৃংখলাবাহিনীর নজরে দেয়া হয়েছে বলে প্রেসক্লাবের সদস্যরা জানিয়েছেন।
এবারে নির্বাচনে বিশৃংখলা এড়াতে দায়িত্বে রয়েছেন ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। উপজেলায় ১৫৩ টি কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন ১৫৩ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা। ৭৮২টি কক্ষে ১জন করে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা এবং ২জন করে পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন হল বড়বিহানালী, গোবিন্দপাড়া, নরদাশ, দ্বীপপুর, কাচারী কোয়ালীপাড়া, শুভডাঙ্গা, মাড়িয়া, গনিপুর, ঝিকরা, আউচপাড়া, শ্রীপুর, বাসুপাড়া, গোয়ালকান্দি, হামিরকুৎসা, যোগীপাড়া ও সোনাডাঙ্গা। নির্বাচনে বিশৃংখলা এড়াতে নির্বাচনে দায়িত্বে রয়েছেন ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.