বাগমারায় সড়ক নির্মাণ কাজে ধীরগতি জনদুর্ভোগ চরমে


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ সদর প্রবেশের রাস্তা সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উন্নতকরণ কাজ ধীরগতির কারণে যাতায়াতে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। নির্মাণের শুরুতে বেইজিং করতে বালির পরিবর্তে মাটি মিশ্রনে অভিযোগ উঠে।
তবে ঠিকাদাদের লোকজনের কথায় ভেকু মেশিনের দ্বারা কাজ করতে কুদালের পরিবর্তে বেশী খনন ছিল। তাই অতিরিক্ত জায়গা পুরণ করতে মাটি দেয়া হয়। বলির পরিবর্তে মাটি দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
জানা গেছে, উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জ- রাজশাহী সড়কের দেউলিয়া রানী রিভার ভিউ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাস স্ট্যান্ড হয়ে দেউলিয়া চৌরাস্তা সড়ক নিচু হবার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বেহাল অবস্থা ছিল।
বরাবরই চলাচলে খানা খন্দকে বিপাকের মুখে পড়তে হতো পথচারী সহ গাড়ি চালকরা। দেউলিয়ার ওই মোড়ে বাসস্ট্যান্ডে লোকজন আসতে হাটু পরিমান কাঁদা পার হতে হয়। জনগণকে দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করতে বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ওই রাস্তাটি সম্প্রতি দ্রুত উন্নয়নে আরসিসি ও কার্পেটিং করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাস্তাটির কাজ নেন আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড। রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আরসিসি ও কার্পেটিং বর্তমানে চলমান।
রানী রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দেউলিয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সড়কটি চার রাস্তার সংযোগ হবার কারণে সব সময় যানযট লেগে থাকে। অন্য সড়কের সাথে সংযোগ ৮শ ১৯ মিটারের ওই রাস্তার এক ধার বন্ধ করে অন্য পাশে কাজ করায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
প্রতিদিনে যাতয়াত কারিদের একজন উপজেলার দলিল লেখক সমিতির সদস্য আব্দুল হাকিম জানান, প্রায় দুই মাস ধরে খোঁড়া খুঁড়ি আর ইট সোলিংসহ বিভিন্ন কাজ চলছে। কাজের তেমন গতি নেই, লোকজন কম দেখা যায়। সামান্য এই রাস্তা পার হতে অফিসে যেতে কোন কোন দিন এক থেকে দেড় ঘন্টা লেগে যায়।
তার মত এলাকার আব্দুর রহিম, মুনসুর রহমানসহ অনেকে জানান, পাকা রাস্তা নির্মাণ উন্নতকরণ কাজের ধীরগতির কারণে এম এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিঃ এর কাজে এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এছাড়া কাজ দেরিতে হলেও কাজ ভালে হচ্ছে বলে স্থানীয় বাস স্ট্যান্ডের বাস মাষ্টার আব্দুল ও পথচারী গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক রেজাউল হক জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আমিনুল হক প্রাইভেট লিমিটেড এর ইঞ্জিনিয়ার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে। তবে নির্মাণকাজের এখন এক পাশে কিউরিং কাজ চলছে। আগামী কয়েক দিনের কাজ অন্য পাশে শুরু করা হবে। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।
একই ভাবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রণব কুমার দাশ বিটিসি নিউজকে বলেন, রাস্তাটি প্রসস্থ ও উচু হওয়ায় কাদা-পানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন জনগণ। জনগণের উপকারের জন্য টিকসই সড়ক করা হচ্ছে। রাস্তার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এক পারের কাজ শেষ। এতে টিকসই করতে কিউরিং এর নির্ধারিত সময় পার করা হচ্ছে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী পুনরায় কাজ ধরা হবে। কাজের কোন অনিয়ম নেই শত ভাগ কাজ বুঝে নেয়া হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.