বাগমারায় মাঠে সোনালী রংগে বোরো ধান বাড়তি খরচে কৃষকের মুখে হাসি নেই


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় মাঠ জুড়ে সোনালী রংগে ভরে গেছে আধা-পাকা ধান। এবারে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় করছেন বাগমারার কৃষকরা। তবে উৎপাদন খরচ বেশী পড়ায় লোকশান মুখে পড়ছেন কৃষককূল। এবারে এক লাফে প্রতি বস্তা সারের ২৫০ টাকা বৃদ্ধিতে শঙ্কিত চাষিরা।
সার, কীটনাশক ও বাড়তি বিদ্যুৎ বিল সহ শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধিতে উড়তি বোরো ফসলের ফলন ভালো হলে কৃষকের মুখে হাসি নেই। তাদের দাবি সরকারী ভাবে ধানের ১২ শত টাকা মন বেধেঁ দেয়া হলেও এলাকায় ৯ শত টাকা মন দরে ধান ক্রয়-বিক্রয় চলছে এতে তারা বিড়াম্বনায় পড়েছেন। ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে এলাকার কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
ধান উড়িতর শেষ সময়ে পুরা মাঠ জুড়ে বোরো ধানের সোনালী রংগে মাঠের মহা সমরাহ। আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হলেও এক সপ্তাহ খানিক পরে ধান কাটা মাড়ায়ের অপেক্ষায় কৃষক সময় গুণছেন।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাগমারার ১৬ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় এবার বোরো ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে বিশ হাজার হেক্টর জমিতে।
তবে এবার অনুকুল আবহাওয়া ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহায়তার কারণে লক্ষমাত্রার চেয়ে আরো দেড় হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। তবে ধানের ন্যায্য দাম নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
বালানগর গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন, আব্দুল মতিন, সাহেব আলী, বয়েন উদ্দিনসহ অনেকে জানান, কৃষিতে অতিরিক্ত খরচ বেড়েছে। দফায় দফায় সার, কীটনাশক ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে এবারে ধানে লাভ না হয়ে মুলধন নিয়ে শঙ্কিত। বর্তমানে বাজারে সরকারী ভাবে বেধেঁ দেয়া ১২ শত টাকা মনের ধান ৯ শত টাকা বিক্রি চলছে। দফায় দফা উপকরণ ও শ্রমিকের মজুরীতে বেসামল এলাকার কৃষক পরিবার। এবারে প্রথম আবহওয়া অনূকূলে না থাকায় চিন্তি ছিল কৃষক। পরবর্তিতে আবহওয়া কেটে উঠায় ধানের ফলন বাড়তি হবে বলে তার আশা ব্যক্ত করছেন।
গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান জানান, গত বছর কম জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলেন। এবার আরো বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। তার মতে, চৈত্রের খরতাপের মাঝে ধানের অবস্থা খারাপ ছিল। হঠাৎ এমন হালকা বৃষ্টিপাতে তার জমির বোরো ধানে দারুন পরিবর্তন এসেছে। মাঠে সবুজ রংগের ধান পাকা রংগে সোনালী আকার ধারণ করেছে। ধানের চেহারা বেশ তর-তাজা।
এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনিসহ স্থানীয় কৃষকরা। তবে এবারে প্রতি বস্তা ২৫০ টাকা সারের দাম বাড়ায় বেজার কৃষককূল। পর্যায়ক্রমে সারের মূল্য বৃদ্ধিতেও শ্রমিকের মজুরীতে ধানের ফলন ভালো দেখেও তাদের মুখে হাসি নেই। স্থানীয় কৃষকরা জানান, আগামী আউস ধানসহ অন্য ফসল চাষে তারা বেকায়দায় পড়বেন বলে এলাকার কৃষকরা দাবি করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বাগমারায় এবার বোরো ধানের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ধানের চলতি বাজার মূল্য এলাকায় ৯ শত টাকা চলছে। তবে সরকারী বেধেঁ দেয়া ধানের দাম এখানো জানা নেই। তবে আজ সময় টেলিভিশনের উদ্ধৃতিতে স্থানীয় এক সাংবাদিক ১২ টাকায় সরকারী ভাবে ধানের দাম বেধেঁ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.