বাগমারায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ সংঘর্ষে আহত-১

প্রতীকী ছবি
বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। আহত ওই ব্যক্তির নাম সাহেব আলী (৫০)। সে উপজেলার গণিপুর ইউনিয়নের আচিনঘাট গ্রামের লবিন মৃধার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আচিনঘাট গ্রামের লবিন মৃধার ছেলে সাহেব আলীর সাথে পাশ্ববর্তি নেমাজ গ্রামের ওসমান হাজীর ছেলে মাসুদ রানা ও মাষ্টার আব্দুর রাজ্জাকদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘ দিনের। সাহেব আলী দুর্দান্ত ও মাদকের সাথে জড়িত। পুকুর সংলগ্ন সাহেবের জমি ভেঙ্গে পুকুরে নামছে এমনটি অভিযোগ তুলে বরাবর পুকুর মালিক মাসুদ পরিবারের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। এ ঘটনায় একাধিক বার দেন দরবার হয়। এ নিয়ে মাসুদ রানা গত সোমবার (২ জুন) বাগমারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পর থেকে গালিগালাজ করতে থাকে সাহেব আলী ও তার ভাই বাবু।
এ ঘটনার জের গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) আচিনঘাট এলাকার ওই পুকুরপাড়ে বিএনপির কর্মী সাহেব আলী বসে ছিলেন। তাকে সেখান থেকে ধরে এনে পাশের রাস্তায় মারপিট করা হয়। পরে লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার পর বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব শামসুজ্জোহা সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অভিযোগ করেন, জামায়াতের বাগমারার গণিপুর ইউনিয়ন শাখার আমীর মাহবুব আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জামায়াতের কর্মী আতাউর রহমান, মাসুদসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সাহেব আলীর ওপর হামলা করেন। তারা তার পায়ের রগ কেটে ফেলেছেন। তখন সাহেব আলীর চিৎকারে বিএনপির কর্মীরা ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাহেব আলী ও জামায়াত নেতা মাহবুব আলমের ভাই মাসুদ রানাদের মধ্যে বিরোধ আছে। জামায়াত নেতার আমবাগানের কিছু অংশ সাহেব আলীর পুকুরের ভেতরে ধসে যাওয়ায় বিরোধ তৈরি হয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। পুকুরপাড়ে কয়েকটি খুপরি ও বসার জায়গা দেখা যায়। ওই ঘরে সাহেব আলীর মাদক কেনাবেচা করার অভিযোগ আছে।
এ বিষয়ে বিএনপির নেতা শামসুজ্জোহা সরকার বলেন, ‘ওরা (জামায়াত) ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। রগ হয়তো কাটেনি, তবে কাছাকাছি গেছে। সাহেব আলী তার দলের লোক।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জামায়াত নেতা মাহবুব আলম বলেন, সাহেব আলী একজন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ী। আচিনঘাটের একটি পুকুরপাড়ে খুপরি করে সেখানে মাদক কেনাবেচা করেন। সাহেব আলীর বড়ভাই বাবু মৃধা ওয়ার্ড কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় রয়েছে কয়েক ডজন অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় লোকজন ধরে তাকে মারধর করেছেন বলে শুনেছেন। জামায়াত-শিবিরের কেউ এতে জড়িত নন।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অহিদুল ইসলামও একই ধরনের মন্তব্য করে বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। একই ভাবে স্থানীয় কয়েকজন জানান, সাহেব আলী দুষ্ট প্রকৃতির লোক। সে মাদক সেবন ও বিক্রেতা। তাকে প্রতিরোধ করতে একাধিকবার এলাকাবাসী চেষ্টা করে।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। সাহেব আলীর উপর হামলাকারীরা এক সময়ে সে মাসুদ রানা ও তার ভাইদের উপর হামলা করেছিলেন। ওই ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা আছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.