বাগমারায় চেয়ারম্যানের অবৈধ পুকুর খননে প্রশাসনের অভিযান

পুরানো ছবি
বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারায় অবৈধ ভাবে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। জোর পূর্বক জমির মালিকদের বাদ রেখে অবৈধ পুকুর খননে এলাকাবাসী জেলা ও উপজেলাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে শনিবার দুপুরে উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হাবিবুর রহমানের খননকৃত পুকুরে অভিযান করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান।
জানা গেছে, উপজেলার ঝিকারা, বারইপাড়া, গোয়ালকান্দি, বাসুপাড়া, তেলিপুকুর গাঙ্গোপাড়া, গোবিন্দপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খনন অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনকে বাইপাছ করে রাতের অন্ধকারে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত পুকুর খননে সাধারণ লোক বেকায়দায় পড়েছে। যত্রতত্র পুকুর খননে কৃষি জমির পরিমান কমে যাচ্ছে এবং চাষাবাদ হুমকীর মুখে পড়ছে। অপর দিকে পুকুর খননের মাটিবাহি ট্রাক্টর রাস্তা-ঘাট নষ্ট করে ফেলছে। এলাকায় এক শ্রেণী পুকুর ব্যবসায়ী স্থানীয়দের কাছে অল্প মূল্যে বেশী লাভের আশায় বিঘা চুক্তিতে কৃষি জমি লিজ নিয়ে পুকুর খনন করে ওই পুকুরই মৎস্য ব্যবসায়ীদের কাছে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে। এতে কতিপয় লোক লাভবান হলেও অধিকাংশরাায় ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছেন।
মন্ত্রণালয় নির্দেশ রয়েছে জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না। আইনের প্রতি প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে ফসলি জমিতে বরাবরই করছে পুকুর খনন।
এসব পুকর দিনের বেলা লুকোচুরি ভাবে ও রাতের অন্ধকারে খনন অব্যাহত রেখেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন বন্ধের নির্দেশ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে প্রভাবশালীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ফসলি জমিতে বরাবরই করছে পুকুর খনন। একই ভাবে অবৈধ জমিচাষের ট্রাক্টরের মাধ্যমে মাটি বহনে যানবহনে রাস্তা ভেঙ্গে চলাচলে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
অব্যাহত বরাবরে অভিযোগ মাথায় নিয়ে দুপুরে উপজেলার প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বাগমারা থানা পুলিশের সহযোগীতায় গোবিন্দপাড়ার বোয়ালিয়া বিলে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের ৫০ বিঘা জমির উপর অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। অভিযান কালে মাটি খননের ভেকু মেশিন রেখে চালক পালিয়ে যায়। এবং ওবি সময় কাউকে না পেয়ে ৪টি ভেকু মেশিন অকার্যকর করেন। এ দিকে অভিযানে জমির মালিকরা খুশি হতে পারেননি। আইনগত ভাবে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। গ্রামের আবুল কাশেম, সিদ্দিকুর রহমান আব্দুল মান্নানসহ অনেকের দাবি চেয়ারম্যান দলের ক্ষমতা দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে জমি দখল করে পুকুর খনন করছেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বিটিসি নিউজকে বলেন, উপজেলায় অবৈধ ভাবে কোন পুকুর খনন করা যাবে না। অবৈধ ভাবে কোথাও ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফসলি জমিতে পুকুর খননের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তারা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.