বাগমারায় ঘনকুয়াশায় ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি, কৃষকরা চাষ নিয়ে উদ্বিগ্ন


বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় অব্যাহত শৈত্য প্রবাহ, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আসন্ন বোর ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি ছড়িয়ে পড়েছে। বোর ক্ষেতের বীজ তলায় কোল্ড ইনজুরিতে চারা লালচে ও হলুদ রং ধরে বীজ নষ্ট হচ্ছে।
বীজতলায় কোন রকম ছত্রানাশক স্প্রে করে কোন ফল না পেয়ে কৃষকরা দিশেহার হয়ে পড়েছেন। তবে এলাকার কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে পলেথিন দিয়ে ধান চার রক্ষা করতে চেষ্টা করছেন।
এদিকে অতিরিক্ত শীত ও ঘনকুয়াশায় এলাকার দিনমজুর, গরীব ও অসহায়দের দিন যাপনে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বাইরে কাজে য়েতে না পেরে অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন।
জানা গেছে, এ এলাকার লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। বিগত দিনে দফায় দফায় সার, ডিজেল, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরী দিয়ে কয়েক বছর ধরে লোকশান গুনছেন।
এ অবস্থায় মওসুমে আবারো প্রতি বছরের ন্যায় কৃষকরা বুক ভর আশা নিয়ে বোর ধানের চাষের জন্য বীজ তলায় বীজ বপন করে। আদি কাল থেকে এলাকার কৃষকূল কৃষি কাজে জড়িত, এবারে কৃষি কাজে নিঃশ্ব হয়ে পড়েছেন বলে তাঁরা দাবি করেন। কৃষিকাজে জড়িতরা দাবি করেন কৃষি কাজ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই, তাই লোকশানের বোঝা মাথায় নিয়েও আবারো মওসুমের বোর চাষে নামতে হবে।
প্রয়োজনীয় সময় বুঝে এবারে বীজতলায় বীজ ফেলা হয়। আগাম জাতের ধান চাষের সময় হলেও এখনও এলাকায় খামারীদের কোন তৎপরতা নেই। এছাড়া উপযুক্ত বোর রোপণের এখনই সময়। কোন কোন এলাকায় বোর চারা রোপন শুরু হলেও সে গুলো অতি শীত ও ঘনকুয়াশায় চারা মরে যাচ্ছে। এছাড়া শীত ও ঘন কুয়াশায় বীজ তলায় চারা বীজ লালচে রং হয়ে নষ্ট হয়ে পড়ছে।
নন্দনপুর, বালানগর, গোপালপুর, দেউলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানায়, আবহওয়ার বিরুপ প্রভাবে গত কয়েক বছর আগে এ ভাবে ধানের চারা সাবাড় হয়ে পড়ে ছিল। এবারও হঠাৎ আবহওয়ার প্রভাবে বীজ তলা চারা লাল হওয়ায় এবারও বোর চাষ নিয়ে তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
বালানগর গ্রামের বয়েন উদ্দিন জানান, আর মাত্র ৭/৮ দিন পর বোর ধান পুরা ভাবে রোপণের কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত শৈত্য প্রবাহ, প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় তার ধানের চারা নষ্ট হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে কৃষি অফিসের পরামর্শে চারা গুলো পলেথিন দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। এতে কি রক্ষা হবে এ নিয়ে তিনি শঙ্কিত রয়েছেন।
এদিকে গতকাল সকাল থেকে ছিল ঘন কুয়াশা আর উত্তরে হিমেল বাতাস। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর হতে বের হচ্ছে না। গত ৩ দিন ধরে এ অবস্থার প্রবল আকার ধারন করায় ভ্যান চালক, দিনমুজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের চরম দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.