বাগমারায় কষ্টিপাথররে মূর্তি ও একটি পাথরের পিলার সাদৃশ্য একটি কালে পাথর উদ্ধার

বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারায় প্রায় ২০ কেজি ওজনের কষ্টিপাথররে মূর্তি ও একটি পাথরের পিলার সাদৃশ্য একটি কালে পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছি সহেল মিস্ত্রীর বাড়ি থেকে দুইটি পাথরের বস্তু উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মিস্ত্রী সহেল (৪৬) ও মোজাম্মেল হক (৪৪) কে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত এক সপ্তাহ আগে উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের কনোপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহানের বাড়িতে পাকা প্রাচীর নির্মানের সময় মাটির নীচে মিস্ত্রীরা একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি ও একটি প্রায় ১০ কেজি ওজনের পিলার সাদৃশ্য পাথর পায়।
একপর্যায়ে তাদের পাওয়া পাথরের তৈরি মূর্তি পেয়ে মবাড়ির মালিককে না বলে গোপন রেখে পরে বাড়ি নেয়। বেশী দামে বিক্রি করতে তারা বিভিন্ন জনের সাথে দরকষাকষি করে। দামে দরে হলে কাজের সময় ৪ জন পেলেও ২ জনকে তারা পাত্তা না দেওয়ায় তারা বাড়ির মালিক আব্দুস সালামকে জানিয়ে দেয়। আব্দুস সালাম তার এক আত্মীয় মাসুদকে ঘটনা জানালে মাসুদ মিস্ত্রীদেরকে নিয়ে মূর্তির বিষয় জানতে চায়। মিস্ত্রীদ্বয় মূর্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলামকে ঘটনার বিবরণ জানান তারা।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী কমিশনার জোবাইয়ের হাবিব দায়িত্ব দেন। সহকারী কমিশনার বাগমারা থানার পুলিশের সহযোগীতায় মিস্ত্রী সহেলের বাড়ি হতে মূর্তি ও পিলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, কষ্টিপাথরের মতো দেখতে পাথরটির ওজন প্রায় ২০ কেজি। এটি কী কষ্টিপাথর, নাকি অন্যকিছু তা পরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না। বিষয়টি প্রত্নতত্ব বিভাগের কাছে জানানো হয়েছে। তারা বিষয়টি পরীক্ষা করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে বস্তুটি সঠিকতা পেলে প্রত্নতত্ব বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুই জন মিস্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে কোন ক্রু না পাওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি আপাদত জিডি হিসেবে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.