বাগমারা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাগমারা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঘুর্ণিঝড় মোন্থা এর প্রভাবে অসময়ে দুই দিন ধরে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার বিকাল হতে গতকাল বৃহস্পতিবার এলাকায় দিন ব্যাপি দফায় দফায় হালকা বৃষ্টি থেকে বড় ফোটার বৃষ্টি নামে। এতে কার্তিকের মাঝামাঝি স্বস্থির বৃষ্টিতে এলাকার কৃষি ফসলের ব্যাপক উপকার হলেও রাতের বৃষ্টিতে কোন কোন এলাকার কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে এলাকার আগাম জাতের পিঁয়াজচাষি ও সরিষা চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েন। এছাড়া মওসুমের রোপা-আমন ধান মাঠে ভিজে চুপষে পচে যাবার মত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, এলাকার লোক বেশী ভাগ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কার্তিক-অগ্রায়নে রবি মওসুমে ফসল উৎপাদনের উপযুক্ত সময়। এ সময়ে জমি চাষ দিয়ে সরিষা, পেঁয়াজ বপন করে। এতে দুই দিনের বৃষ্টিতে চাষকৃত জমিতে পানি বেঁধে বীজ নষ্ট হতে বসেছে। এছাড়া খড়ের জন্য জমিতে ধান কেটে রাখা ধানের উপরে পানি বেঁধে খড় নষ্টের পাশাপাশি ধান নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে।
বালানগর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম, আনছার আলী ও ফসির উদ্দিন বিটিসি নিউজকে জানান, সরিষা বপনের উপযুক্ত সময় পেয়ে সরিষা গত তিন দিন আগে রোপণ করা হয়। কিন্ত বপনের পরের দিন হতে বৃষ্টিতে জমির বপনকৃত সরিষায পানি বেধেঁ গেছে। পানি বাধাঁর কারণে ওই জমির সরিষা নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা। একই ভাবে গ্রামের বয়েন, হাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন কৃষক জানান, তাদের বাড়িতে গরু পালনের কারণে খড়ের প্রয়োজন। খড় শুকানের জন্য রোপা-আমন ধান কেঠে মাঠে রেখেছেন। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি নামায় তাদের খড়সহ ধান নষ্ট হতে বসেছে।
এ ব্যাপারে বাগমারা উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বিটিসি নিউজকে বলেন, হঠাৎ করে বৃষ্টিতে বপনকৃত ফসলের কিছুটা ক্ষতি হবে। তবে আবহাওয়া কেটে গেলে ধানের তেমন সমস্য হবে না। এছাড়া অসময়ে বৃষ্টিতে শাক-সবজি, মরিজসহ বেশ কিছু ফসলচাষিরা লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মো: আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

















