বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক চমৎকারভাবে বিদ্যমান : দোরাইস্বামী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় সহযোগিতাসহ ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক চমৎকারভাবে বিদ্যমান রয়েছে। দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা আরও জোরদার করা হচ্ছে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে আমাদের সবাইকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে শহীদ দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা প্রতিষ্ঠিত কুমুদিনী হাসপাতালের জন্য ভারত সরকারের উপহার একটি লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স, অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা সামগ্রী অক্সিজেন সিলিন্ডার ও শ্বাস-প্রশ্বাস সহায়ক সরঞ্জাম হস্তান্তর এবং পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে এসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ দেশের সব ধর্মের মানুষ শারদীয় দুর্গাপূজায় উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করেন, যা সত্যিই একটি বিরল দৃষ্টান্ত। আমার বিশ্বাস দেবী-দুর্গার জ্ঞান আমাদের আলোর পথ দেখাবে।’
বিকেল সাড়ে চারটার সময় তিনি ও তার স্ত্রীসহ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তারা কুমুদিনী কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছালে কুমুদিনী পরিবারের সদস্যরা এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
লাইব্রেরি মিলনায়তনে চা চক্রের পর তিনি কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন সেবাধর্মী ইউনিট এবং ভারতেশ্বরী হোমসের সবুজ চত্বর পরিদর্শন করেন।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারত-বাংলাদেশ যেভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন, বর্তমানেও দুই দেশের সরকার সম্পর্ক উন্নয়ন করে আরও উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নির্ধারিত হয়েছে এবং যার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশর জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।’
কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, নার্সিং কলেজ, উইমেন্স মেডিকেল কলেজসহ সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠানের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপহার লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সামগ্রী এই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রাজিব প্রসাদ সাহার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
পরে বিক্রম দোরাইস্বামী মির্জাপুর সাহাপাড়া গ্রামের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় তার স্ত্রী সঙ্গিতা দোরাইস্বামী, ভারতীয় হাই কমিশনারের কর্মকর্তা, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন আহম্মদ, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রিজাউল হক শেখ দিপু, সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর-নাগরপুর সার্কেল) এসএম আবু মুসা, টাঙ্গাইল ডিবি দক্ষিণের ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন, কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা, পরিচালক (শিক্ষা) মিস প্রতিভা মুৎসুদ্দি, পরিচালক শ্রীমতি সাহা, সম্পা সাহা ও কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়সহ কুমুদিনী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি মো, সেলিম রেজা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.