বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা 

খুলনা ব্যুরো: আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর ভারতের মিডিয়া গুলোতে চলছে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক খবরের বন্যা। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের নিয়োগ করা বাংলাদেশী এজেন্টদের দিয়ে চলছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা। তারই অংশ হিসেবে ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগল কমিটির ব্যানারে প্রেস ব্রিফিং করতে এসেছিলেন সংগঠনের পাবলিসিটি সেক্রেটারি আল আমিন শেখ জনি।
দাবি করছিলেন সরকার পতনের পরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক হামলা হচ্ছে। খুলনা জেলার কোন মন্দির ভাংচুর হয়েছে এবং কার কার বাড়িতে হামলা হয়েছে জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট করে একটিও প্রমান দিতে ব্যর্থ হন।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে নগরীর বিএমএ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য রাখতে এসেছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রূপসা উপজেলার অন্যতম সহ সমন্বয়ক দাবিদার মোহাম্মদ নাঈম। অসংলগ্ন কথা বার্তার এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি কিচ্ছু জানিনা। আমরা ছাত্রদের নিয়ে বংগবন্ধু কলেজ এলাকায় রাস্তা পরিচ্ছন্ন করছিলাম। আমাকে ফোন করে ডেকে আনা হয়েছে। তিনি ক্ষমা চেয়ে বিদায় নেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জনি বলেন, সংগঠনের সভাপতি শিপান কুমার বসু। তিনি দিল্লিতে থাকেন। জনি ২০১৬ সালে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য ছিলেন বলে দাবি করেন।
এদিকে ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের ওপর হামলা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক। তিনি বলেন, ভারতের কিছু গণমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়াচ্ছে, মিথ্যাচার করছে। নানা উদ্ভট কথাবার্তা বলছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর এ দেশের হিন্দু সমাজ মনে করেছিল যে তাদের ওপর হামলা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটবে। কিন্তু গতকাল বিকেলে জামায়াত ও বিএনপির নেতারা তাদের সব নেতাকর্মীকে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা-লুটপাট যাতে না হয় এবং মন্দিরে যেন পাহারার ব্যবস্থা করা হয় সেই নির্দেশ দেন। গতকাল থেকে দেখেছি, তারা পাহারা দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, যে কারণে সাধারণভাবে হিন্দুদের ওপর কোনো ধরনের হামলা হয়নি বা কোনো মন্দিরে ভাঙচুর হয়নি৷ কিছু আওয়ামী লীগ হিন্দু নেতা রয়েছেন, যারা বিভিন্ন সময়ে লম্ফঝম্প করেছিলেন, তাদের বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ হয়েছে।
একই সঙ্গে মুসলমান আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে গুটি কয়েক সুযোগসন্ধানী লোক মন্দিরে হামলা করেছে। সেটা তেমন কোনো বিষয় না।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.