বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার থেকে গরিব আর কেউ নেই : গয়েশ্বর

ঢাকা প্রতিনিধি: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন,জিয়াউর রহমানের কিছু নেই, কিছু রেখে যায়নি। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার থেকে গরিব আর কেউ নেই। নিজের একটা বাড়ি নাই, ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায়ই ভাড়া পরিশোধের নোটিশ আসে। খালেদা জিয়ার ব্যাংক একাউন্ট বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও তিনি ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশী তুলতে পারেন না। খালেদা জিয়ার মতন একজন ব্যক্তির কিভাবে ৫০ হাজার টাকায় চলেন? কিভাবে তার চিকিৎসা হয়?
আজ বুধবার (০২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানীর মোগলটুলী এলাকায় জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।
গয়েশ্বর বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস। আজ বিজয়ের মাসের দ্বিতীয় দিন। ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের মানুষ বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য যার যার জায়গা থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ৫০ বছর পূর্তি পালন করবেন।সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, দশ মাস বয়স হলো করোনার। ১০ মাসের মধ্যে ১০ মিনিটের জন্যে প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবন থেকে বের হন নাই। তার নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি ঘরের বাইরে হন নাই কিন্তু ১৮ কোটি মানুষ তো নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে বসে থাকতে পারে নাই। আমাদের অনেক সিনিয়র নেতা করোনায় প্রাণ দিয়েছে। এখনো করোনায় ভুগছে। গয়েশ্বর রায় বলেন, আমিও যে কোন সময় আক্রান্ত হতে পারি।
নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় নামতে হয় শেখ হাসিনার জন্য। করোনার মৃত্যুর চেয়ে যদি রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে যে মৃত্যু হয় তাহলে ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কোনো অবদান থেকে থাকে আমার-আমাদের তাহলে সেটা পরিপূর্ণ হবে। আজকে মৃত্যুর ভয় করে ঘরে বসে থাকতে পারি না। করোনার থেকেও মারাত্মক ভয়ানক আজকের সরকার।
তিনি বলেন, একটা বিখ্যাত গান- ‘মানুষ মানুষের জন্য’ কিন্তু আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য না। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের জন্য। আর মানুষ মানুষের জন্য। অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে মানুষের পর্যায়ে ধরা যায় না। আওয়ামী লীগ- আওয়ামী লীগের জন্য কাঁদে।
আওয়ামী লীগ- আওয়ামী লীগের লুট করে, আওয়ামী লীগ- আওয়ামী লীগ চিনে কিন্তু সাধারণ মানুষ চেনে না।জিয়াউর রহমানের নাম মুছতে পারবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ের মানুষ জিয়াউর রহমান। আত্মার আত্মীয় জিয়াউর রহমান। তার নাম হৃদয়ে লেখা, কালিতে লেখা না। ইচ্ছা করলে মোছা যায় না। ইচ্ছা করলে ছেঁড়াও যায় না।
মৌলভীবাজারের বিশাল একটি মাঠ আছে, মাঠের নাম এখনো গান্ধী মাঠ। নোয়াখালীতে এখনো একটি আশ্রম আছে, আশ্রমের নাম গান্ধী আশ্রম। দিল্লিতে এখন একটি রোড আছে, রোডের নাম জিন্না রোড। পাকিস্তানীরা যে বর্বর তারাও কিন্তু গান্ধীর নাম মোছে নাই। কারণ ইতিহাসে পাতায় কোথায় কখন কার নাম স্মৃতি হয়ে থাকে এটা মুছে ফেলা মানে ইতিহাস মুছে ফেলা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.