বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হতে পারে জুনে : ডিজি

বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি: আগামী জুন মাস থেকে বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার (০৭ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে কয়েকটি ঔষধ কোম্পানীর সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। আগামী ২০ মে’র মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমিডিসিভির ঔষধের ব্যবহার শুরু হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অদৃশ্য শক্রর বিরুদ্ধে লড়ছে মানুষ। প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রচেষ্টাও চলছে জোরেশোরেই। বিশ্বব্যাপী ৮টি দেশ করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি এরই মধ্যে কয়েক ধাপ এগিয়েছেও।

বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রচেষ্টা যখন চলছে বাংলাদেশ তখন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনা কিছুটা এগিয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আশাবাদী আগামী জুনেই বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের ট্র্যায়াল শুরু করতে পারবে।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ডিজি মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান বলেন, অক্সফোর্ড এবং চায়না দুটোরই ভ্যাকদিনের ট্রায়ালের কথা চলছে আইইডিসিআরের সঙ্গে। এর প্রয়োজনও আছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের যাদের শরীরে এই ভ্যাকসিন কাজ করছে, আমাদের দেশে তা নাও করতে পারে।

করোনা প্রতিরোধে রেমডিসিভির প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়ার কথা জানাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশ এরই মধ্যে ৮টি ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে এই ঔষধ উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে। চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে রেমডিসিভির পাওয়ার আশা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।

মেজর জেনারেল মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, রেমডিসিভির আসলে ইবোলা রোগের জন্য হয়েছিল। এটা পুরনো মেডিসিন। আমরা ধারণা করেছি এটা কাজে আসতে পারে।

ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে এমন দুটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রয়েছে বলেও জানায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (ঢাকা) প্রতিনিধি মো: ফারুক আহম্মেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.