বাংলাদেশের লেবার অ্যাক্ট আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে : উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন

নাটোর প্রতিনিধি: বাংলাদেশের লেবার অ্যাক্ট আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সামান্য কিছু স্বার্থের জন্য শ্রমিকদের উত্তেজিত করে শিল্প কারখানা আজ নষ্ট করা হচ্ছে। যা কাম্য নয়। ম্যান পাওয়ার ও গার্মেন্টস যদি সমন্বয় না হয় তাহলে সমস্যা হয়। গার্মেন্টসের মালিক যদি শ্রম মন্ত্রালয়ের মন্ত্রী হয় তাহলে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা হয় না। দেশের অনেক শিল্প মালিক আছে যারা টাকা চুরি করার জন্য বসে থাকে। বিশেষ করে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো। এর ফলে ভালো উদ্যোক্তাদের বদনাম হচ্ছে। এ কারণে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে।
রোববার (০৩ আগষ্ট) দুপুরে নাটোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শ্রমিক কল্যান ফাউন্ডেশনের চেক হস্তান্তর, স্থানীয় প্রশাসন ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আসমা শাহিন।
মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড.এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গার্মেন্টসের মালিকরা শ্রমিকদের টাকা, ব্যাংকের শত শত, হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। তাদের আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বিদেশে বাড়ি বানিয়ে আয়েশি জীবন-যাপন করছে। আর শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের জন্য মালিকদের বাড়ি সম্পদ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। একই সাথে শ্রমিকদেরও দায়িত্ব আছে বলে জানান শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এক বেক্সিমকো কোম্পানী একটি প্রাইভেট ব্যাংক থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা লোন নিয়ে পালিয়েছে।
তিনি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা নেতা হয়েছেন তা কিন্তু শুধুমাত্র ভোটের জন্য না। আপনাকে নেতা করা হয়েছে যেন আপনি তাদেরকে সঠিক পথে চালিত করতে পারেন। আপনি যদি বেঠিক পথে চালান তাহলে আমাদের দেশের কমপ্লিট ট্রাকচার ভেঙ্গে পড়বে, সমস্ত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে, ডিস্টিক্ট ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সবটা ভেঙ্গে পড়বে। এটাকে ৮ মাসে ১০ মাসে বা এক বছরে ঠিক করা সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, আপনারা প্রায়ই শুনেন পুলিশ প্রশাসন ঠিকমত কাজ করছেনা। তারা কাজ করবে কি করে কারন স্টাকচারটাই শেষ। আইনের স্ট্রাকচার শেষ, প্রশাসনের স্ট্রাকচার শেষ। আপনাদেন নায্য দাবি দাওয়ার জন্য আপনারা আবেদন করতে পারেন, জেলা প্রশাসক যদি না শুনে তাহলে আমার মন্ত্রণালয়ের দরজা আপনাদের জন্য সবসময় খোলা রয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারী বৈষম্য বা লিঙ্গ বৈষম্যে ও হ্যারেজম্যান করা যাবে না। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন সহ প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাবৃন্দ। পরে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২২ জনের হাতে ১২ লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.