বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির ঠিকানার নাম হচ্ছে বাংলাদেশ আ’ লীগ : তথ্যমন্ত্রী

পিআইডি প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির ঠিকানার নাম হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। বাংলাদেশের সমস্ত অর্জনের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম।

মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন তা নয়, বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে সপরিবারে হত্যার কারণে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করে যেতে পারেননি।

আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি জাতির জীবনে স্বপ্ন থাকতে হয়। স্বপ্নহীন জাতির পক্ষে স্বপ্ন পূরণের তাগাদা থাকে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তিনি দুইটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন- একটি হচ্ছে দিন বদল, আর একটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে আমরা ভিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম, অনেকে হাস্যরস করেছিল। বিএনপি ঠাট্টা মশকরা করেছিল। আজকে ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন। এটি হচ্ছে- ডিজিটাল বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এখন ক্ষেতের পোকার ছবি তুলে কৃষক ভাই জেলা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসারকে ফোন করে বলে, অফিসার ভাই আমার ক্ষেতে এই পোকা লেগেছে, আপনাকে ছবি পাঠালাম। তখন কৃষি অফিসার পোকার ছবি দেখে বলে, তুমি এই ওষুধ দাও। এটা হল- ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তব।

মন্ত্রী বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি অনেক এগিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়েও এগিয়ে। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ আর ভারতের ৫ শতাংশের একটু বেশি। বাংলাদেশে এখন কেউ খালি পায়ে হাটে না। এটা হচ্ছে দিন বদল। বাংলাদেশে এখন তালি দেওয়া কাপড় কেউ পড়ে না। এটা দিন বদল। কবি জসীম উদ্দীনের কবিতার কুড়ে ঘর এখন শুধু বইয়ের পাতায় আছে। এটি বাস্তবে দেখা যায় না, সব জায়গায় টিনের চালা উঠেছে, এটা হল- দিন বদল। আজকে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে। এটা অনেকের পছন্দ হয় না।

তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি এখন খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যথা আর কোমরের ব্যথার মধ্যে ঢুকে গেছে। তারা জনগণের কোন কথা বলে না। বিএনপির আমলে ল’ ডিগ্রি নাই এমন লোককেও তারা হাইকোর্টের জজ বানিয়ে ছিল। তারা ঘরের মধ্যে কোর্ট বসিয়েছিল এবং তারা চিফ জাস্টিসের দরজায় লাথি মেরেছিল।

তাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার অধিকার নাই। এখন বাংলাদেশের আইন আদালত স্বাধীন। স্বাধীন বলেই আমাদের দলের নেতা-কর্মীদেরও কোর্টে হাজিরা দিতে হয়, জেলে যেতে হয়।

মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা পর পর তিনবার, ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থাকলে বিনয়ী হতে হয় । বিনয়ের বিকল্প কিছু হয় না। আমি নেতা-কর্মীদের বিনয়ী হওয়া অনুরোধ জানাই। আমাদের আচরণে মানুষ যেন বিরক্ত না হয়। মানুষ বিরক্ত হয় এমন আচরণ করলে দল তাদের জায়গা দিবে না।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মঈনুদ্দীন মন্ডল এর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বক্তৃতা করেন। অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল ও ফেরদৌসি ইসলাম জেসি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান ও শাহাবুদ্দীন ফরাজি বক্তৃতা করেন। # (প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.