বাংলাদেশের টিকে থাকার লড়াই, পরিসংখ্যান যা বলছে

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবাননের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় সেমির দৌড়ে কিছুটা পড়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সামনে এখন অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যে হারলেই বাদ। খাঁদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রোববার মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
ব্যাঙ্গালুরুর শ্রী কান্তীরাভা স্টেডিয়ামে বিকেল ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
আজ মালদ্বীপের সাথে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে যদি বাংলাদেশ জিতে যায় তাহলে দৌড়ে টিকে থাকবে। আর হেরে গেলে দিনের অপর ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে লেবানন যদি জেতে, তাহলে গ্রুপের হিসেব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ও ভুটান টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হবে। পরের পর্বে জায়গা করে নেবে লেবানন ও মালদ্বীপ।
আর বাংলাদেশ যদি মালদ্বীপকে হারানোর পর ভুটানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতে তাহলে কোনো সমীকরণ ছাড়াই সেমিফাইনালের টিকিট পাবে বাংলার ফুটবলাররা। আর মালদ্বীপের সাথে ড্র করলে ভুটানের বিপক্ষে জিতলেও অন্য দলগুলোর পয়েন্টের দিকে চেয়ে থাকতে হবে জামাল ভূঁইয়াদেরকে।
২০০৯ সালের পর সাফের সেমিতে না খেলতে পারার আক্ষেপটা ঘুচাতে জামাল ভূঁইয়াদের জয় ভিন্ন পথ খোলা নেই।
এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে মালদ্বীপ ও বাংলাদেশ। এই ১৫ ম্যাচের পরিসংখ্যান জয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। কেননা পাঁচ হারের বিপরীতে লাল সবুজের প্রতিনিধিদের জয় চার ম্যাচে। চার ম্যাচ ড্র আর দুটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
এই ১৫ দেখায় গোলের হিসেবে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ২২ গোলের বিপরীতে মালদ্বীপ দিয়েছে ২১ গোল।
এখন পর্যন্ত সাফে পাঁচ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এর ভেতর মালদ্বীপ জিতেছে ৩ ম্যাচে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্জন কেবল এক জয়। তবে সাফে গোলের দিক থেকে বেশ এগিয়ে মালদ্বীপ। তাদের ৯ গোলের বিপরীতে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা গোল দিয়েছে চারটি।
দুই দলের মধ্যকার লড়াইয়ে সবচেয়ে বড় জয় দুটি বাংলাদেশের। ১৯৮৪ সালের এসএ গেমসে মালদ্বীপকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পরের বছর একই টুর্নামেন্টে জয়ের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৮-০ তে।
সবশেষ মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় হওয়া চার জাতি টুর্নামেন্টে। তবে পরের বছরেই এক প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে যায় জামাল ভূঁইয়ার দল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.