বাংলাদেশসহ ১৫৩ দেশের ট্রানজিট বাতিল করলো হংকং

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশসহ ১৫৩টি দেশ ও অঞ্চলের ট্রানজিট বাতিল করেছে হংকং। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এ তালিকায় ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কার নামও রয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছে হংকং। এতে অতিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে গ্রুপ এ-তে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশসহ শতাধিক দেশ। এর মধ্যে আগেই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের ভ্রমণকারীদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) কড়াকড়ি আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সবশেষ ২১ দিন গ্রুপ এ-তে থাকা কোনো এলাকায় অবস্থান করা ব্যক্তিদের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ট্রানজিট বা ট্রান্সফার স্থগিত করা হয়েছে।
এ নির্দেশনা আগামী রবিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে পরবর্তী এক মাস কার্যকর থাকবে।
ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে এমন কঠোর ব্যবস্থা নিতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে হংকং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এমনকি, অলিম্পিকের অতিথিদের জন্যেও এই বিধিনিষেধ সমানভাবে প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুর দিকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে হংকং। এর মধ্যে ছিল আটটি দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল, বার-জিম বন্ধ, রাতের বেলা রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধের মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ।
মূল ভূখণ্ডের মতো চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংও মহামারির শুরু থেকেই কঠোর করোনাবিধি মেনে চলেছে। কার্যত সীমান্ত বন্ধ, কয়েক সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন, এলাকাভিত্তিক লকডাউন, গণহারে করোনা পরীক্ষার মতো ব্যবস্থা নিতে দেখা গেছে তাদের।
হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেছেন, শহরটিতে এবার ওমিক্রনের সম্প্রদায়ভিত্তিক সংক্রমণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এ অবস্থায় ওমিক্রন মোকাবিলায় সবধরনের বড় জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে হংকং। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বার, নাইটক্লাব, জিম, বিউটি পার্লারসহ আরও কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টার পর রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া নিষিদ্ধ। বাতিল করা হয়েছে সব ক্রুজ ভ্রমণও। বিশ্বের অন্যতম ব্যবসায়িককেন্দ্রে নতুন করে বিধিনিষেধ জারি হওয়া বিশ্বঅর্থনীতিতে আরেকটি বড় আঘাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। (সূত্র: এএফপি) #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.