বাঁশি বাজানোর নেশায় ঘুরে বেড়ান পোড়াদহের বাবলু রহমান

দামুড়হুদা( চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি: বাঁশের বাঁশি বিক্রি করে বেড়ান। তিনি শুধু বাঁশি বিক্রি করেন না, বাঁশি বাজানোও পছন্দ করেন। বাঁশি বাজিয়ে পথে প্রান্তরে বাঁশি বিক্রি করে বেড়ান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সামনে দেখা হয বাঁশি বিক্রেতা বাবলু রহমানের (৫৬) সঙ্গে।
বাঁশি বিক্রেতা বাবলু রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, কুষ্টিয়া জেলার পোড়াদহে তাঁর বাড়ি। কিশোর বয়সে শিখেছিলেন বাঁশি বাজানো। স্ত্রী, ২ ছেলে আর ২ মেয়ে নিয়ে সংসার। এক ছেলে পোড়াদহে কাপড়ের ব্যবসা করেন ছোট ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র। আর দুই মেযের বিয়ে সাদি হয়ে গিযেছে। ৩৫/৪০ বছর ধরে তিনি শহরের রাস্তায় রাস্তায় বাঁশি বাঁজিযে বেড়ান।
বাবলু রহমানের সঙ্গে আলাপ কালে জানা যায়, শখের বশে বাঁশের বাঁশি তৈরি করেন। বাঁশি বাজানোর নেশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। আবার দেশের বিভিন্ন স্থানের মেলায় বাঁশি বাজিয়ে বাঁশি বিক্রিও করে থাকেন তিনি।
তিনি আরও বলেন বড় ছেলে সংসার চালায়, তাই তেমন কোনো অভাব অনটন নেই। ছেলেরা বাঁশি বিক্রি করতে দেয় না। বাঁশি বিক্রির জন্য বাড়ি থেকে ছেলেদের না বলে বের হতে হয়।’
বাঁশি বিক্রি কেমন হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন আর আগের মতো বাঁশের বাঁশি বিক্রি হয় না। যান্ত্রিক যুগে বাঁশের বাঁশির সুরের সঙ্গে অনেকে পরিচিত না। পাইকারিতে কিনে কম লাভে বিক্রি করতে হয় বাঁশি। তবে, ছোট্ট ছোট শিশুদের জন্য অনেকেই বাঁশি কিনেন। কিন্তু শখের কাছে শারীরিক যন্ত্রণা হার মানে। তাই নিজের মনের শান্তির জন্য বাঁশি বাজায়।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি মোস্তাফিজ কচি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.