বাঁচতে চায় আফরোজা, অর্থাভাবে দেখাতে পারছেনা ডাক্তার

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ  সদা চঞ্চল একটি মিষ্টি মেয়ে। পড়াশুনায় মেধাবী। সেই মেয়েটির জীবন আজ সংকটাপন্ন। মাত্র কয়েক হাজার টাকায় বাঁচতে পারে তার জীবন। অর্থাভাবে দেখাতে পারছেনা ভালো ডাক্তার, দিতে পারছেনা প্রাথমিক চিকিৎসা, খাওয়াতেও পারছেনা ভালমন্দ কিছু। বেদনায় এ যেন বিধির এক নির্মম পরিহাস।

বাস্তব চিত্রে সরেজমিনে গিয়ে ধরে রাখতে পারিনি চোখের পানি আর আজ লিখতে গিয়ে কষ্ট হচ্ছে বারবার কারণ অর্থনৈতিকভাবে তাকে সাহায্য করার মতো আমার সামর্থ্য নেই। মধ্যম আয়ের দেশে এমনও লোকে খুজে পাওয়া যাবে, তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। তারপর অসহায় বোনটির পাশে দ্বারাতে চাই আপনাদের সাহায্য সহযোগিতার আশায়।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী রেল স্টেশন এর পাশেই বাড়ি এবং ভোটমারী এস সি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী, মোছাঃ আফরোজা আক্তার।

 দির্ঘদিন ধরে বিছানায় পড়ে থাকলেও পরিবারের লোকজন আজও জানেনা তার রোগ কি। আর জানবেই বা কি করে নিজে খাবে তার উপায় নাই, ডাক্তারকে দেখাবে বা ঔষধ কিনবে কি দিয়ে।

মেয়েটির বাবা থেকেও যেন নেই, মা তাও নেই। তার পরিবারে  উপার্জনক্ষম ভাই। ভাই রোজগার করে যা পায় কোন রকম দাদি ও বোনকে একটু আহার দিতে পারে।জমাজমি বলতে কিছুই নেই। থাকেন অন্যের জমিতে ভাঙ্গা কুঠিরে। ইতিমধ্যে হাঁসমুরগি যা ছিলো তা সবই শেষ হয়েছে স্থানীয় চিকিৎসায়।

দেনাও হয়েছে অনেক। অসুখের কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও তারা আজও জানেননা কি হয়েছে। শুধু জানেন মেয়েটির পেট ব্যাথা, বমি, পা ব্যথা, হাত ব্যাথা ও জ্বর। গায়ের জ্বর বারমাসে লেগেই আছে। অনেক চিকিৎসা করেও অসুখ ছাড়ছেনা, সে কিছুই খেতে পারেনা। যাই খায় তাই আবার বমি করে বের করে দেয়। চলাফেরা, উঠা বসা কিছুই করতে পারেনা।

টাকার অভাবে পারছেনা পরিক্ষা নিরিক্ষা করতে।।অর্থাভাবে ভর্তি করাতে পারছেনা মেডিকেলে ভর্তি করাতে পারছেনা তার পরিবার। স্থানীয় কয়েকজন নিকট সাহায্য তুলে তার প্রথমিক চিকিৎসা বাড়িতেই দিচ্ছে।  মেডিকেলে ভর্তি ও চিকিৎসা দিতে হলে চাই অর্থ। কোন লাভ হচ্ছে, কারণ টাকা না থাকায় ডাক্তারের লেখা ঔষধ তারা কিছুই কিনতে পারবেনা।

মেয়েটির লেখাপড়ায় কঠিন আগ্রহ থাকলেও গত কয়েক  মাস ধরে  স্কুলে যেতে পারছেনা। আফরোজা, ভোটমারী এস সি উচ্ছ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে।

খবর পেয়ে সরেজমিনে আফরোজার  বাড়িতে গেলে সাংবাদিক এসেছে শুনে একটি হতাশ কাটতে প্রান ফিরে পায় তার দাদি ও ভাই।। তার দাদী রাবেয়া বেগম জানান , সমাজের মানুষ যদি আমাদের দিকে একটু তাকায় হয়তো আমার নাতনির চিকিৎসা করাতে পারবো। নিউজ করলে হয়তো আল্লাহর দয়ালু বান্দা যে কেউ মেয়েটির পাশে দ্বারাবে। আফরোজার  সু-চিকিৎসা হবে। বেঁচে থাকবে নানির কোলে। এখন বাকি ভরসা পাঠক আপনারাই।

আফরোজা আজ আবারো গুরতর অসুস্থ হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে।।

আসুন না, কষ্ট হলেও সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে মেয়েটির পাশে দ্বারাই। তার চিকিৎসা ও লেখাপড়ার ব্যবস্থা করি। ফিরে যাক আফরোজা আবার সেই স্কুলে।