বিটিসিআন্তর্জাতিকডেস্ক: ইউরোপের পর এবার চীন। আচমকা বন্যায় ভেসে গেল ঘরবাড়ি। প্রাণ হারালেন অন্তত ১২ জন। বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার ১০ হাজার মানুষ। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। রাস্তায় নেমেছে চীনের সেনা।
বহু যুগের মধ্যে একদিনে এত বৃষ্টি দেখেনি মধ্য চীনের হেনান প্রদেশ। আবহাওয়া দফতরের মতে মঙ্গলবার যে বেগে বৃষ্টি হয়েছে, তা অস্বাভাবিক। এক ঘণ্টায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে প্রদেশের কোনো কোনো শহরে।
যার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় প্রায় পুরো প্রদেশটিই। তার উপর দুইটি বাঁধ ভাঙার খবর মিলেছে। তার মধ্যে একটি ইয়েলো নদীর উপর। হোয়াংহো নদীর উপরের বাঁধও ভেঙেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বন্যার জল আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনার পরেই রাস্তায় নেমেছে চীনের সেনা। বন্যা বিধ্বস্তদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেনা সূত্রের দাবি, এখনো পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ পাঁচ।
তবে চীনের সরকারি টেলিভিশনের দাবি, নিখোঁজের সংখ্যা আরো বেশি। প্রায় ১০ হাজার মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে।
এবার চীনের মধ্যাঞ্চলে অস্বাভাবিকরকম সক্রিয় বর্ষকাল দেখা যাচ্ছে। এতে হুয়াং হি নদীর অববাহিকার অনেকগুলো নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে হেনান প্রদেশের লাখ লাখ মানুষের জীবন ওলটপালট হয়ে গেছে।
প্রদেশটির বহু শহরের রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু জলাধার ও বাঁধের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার পর্যায়ে চলে এসেছে।
বৃষ্টিতে এক রাতের মধ্যে ঝাংঝৌয়ের পশ্চিমে লুওইয়াং শহরের ইহিথান বাঁধে পানি বিপৎসীমার ২০ মিটার উপরে চলে এসেছে এবং বাঁধটি ‘যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে’ বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আক্রান্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বহু বাঁধ ভেঙে গেছে। একাধিক অঞ্চলে জল ঢুকেছে। সেনা নেমেছে। কিন্তু পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। বস্তুত, আজ বুধবার (২১ জুলাই) সকালে হেনান প্রদেশে ক্যাটাগরি তিন থেকে ক্যাটাগরি দুইয়ের বিপর্যয় সংকেত জারি হয়েছে। (সূত্র: ডয়েচে ভেলে)। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.