বশেমুরবিপ্রবিতে কর্মচারীদের চাকুরী স্থায়ীকরণসহ ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন 

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ দফা দাবিতে আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের দাবিসমূহ,  দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী নীতিমালা প্রনয়ণ, চাকুরি স্থায়ী করণ ও বকেয়া বেতন প্রদান।
 দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা জানান, “আমরা দীর্ঘ ৪ বছর যাবত দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত আছি। সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিন এর সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদেরকে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কাজের সুযোগ দেয়া হয় কোন নীতি না মেনেই। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ লোকের সরকারি চাকুরির বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত ও হুমকি স্বরুপ। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দিচ্ছেনা। আমরা ১৭৬ জন কর্মচারী ৪ মাস যাবত কোন বেতন-ভাতা পাচ্ছিনা। এমতাবস্থায় আমরা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খুবই দুর্বিষহ জীবন যাপন করছি। “
তারা আরো জানান, ইউজিসি কর্তৃক তাদের জন্য বাজেট বরাদ্দ আছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি তথ্য উপাত্তে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইউজিসি কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬৪ জন স্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বাজেট দেয়া হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীদের জন্য কোন বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়নি। ২০১৯ সালের ১২ মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়।এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীর সংখ্যা কমিয়ে আনার সুপারিশ  করা হয় এবং আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে লোক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করা হয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট অফিসার ফয়সাল আহমেদ নিরীক্ষিত আরেকটি নথিতে মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীদের ২০১৯ সালের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা বাবদ ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকা প্রদান করা হয়েছিল। পরবর্তীতেও এই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে আগস্ট মাস থেকে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের  ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি শাফিউল কায়েস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.