বর্ষোপল

রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় (কলকাতা থেকে): উদভ্রান্ত জীবন থেকে চুইয়ে পরা অসংলগ্ন সূত্রেরা সমাধানের রাস্তা খোঁজে।
চোরাবালি যখন গোগ্রাসে গিলতে থাকে অস্তিত্ব, হতাশার ছায়া দীর্ঘথেকে দীর্ঘতর হয়।
ঘামে ভেজা শরীর, লোনা ধরা দেওয়াল, পরবাসী রাত, সাক্ষী বেনামি মুহূর্তদের। তুসে র আগুনের মত ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে গুপ্ত গুহা থেকে ছড়িয়ে পরে।
পোষাকী মিথ্যেরা চিরাচরিত কৌশলে বদলে ফেলে অবয়ব। সন্দেহের গাঢ় আতিশয্যের জালক ঘিরে ফেলে ক্রমে। নিঃশ্বাস সংক্রমিত শরীরী বুদবুদ পার হয় গোপন আস্তানা।
জলীয় সম্পর্কের আত্মমগ্ন ক্লেদ বারংবার রূপ থেকে রূপান্তরে, এক আধার থেকে অন্য আধারের রূপ নেয়। বীতাগ্নি প্রেম, অন্ধকারের সান্নিধ্যে চায়। অবিশ্বাসী ঘ্রানের স্রোত আপাদমস্তক গ্রাস করতে মরিয়া।
খুঁটে খাওয়া আত্মগ্লানি, জমতে জমতে ভিসুভি য়াস। তবু রামধনু দেখবো বলে পা বাড়াই। বর্ষোপল হয়ে ঝরে পরে জীব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.