বর্ষিয়ান তিন আ’ লীগ নেতার মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই সংগঠনের শোক প্রকাশ


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতি ও আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী বলিষ্ঠ মুখ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিন বর্ষিয়ান নেতা জাতীয় নেতা শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর সন্তান মোহাম্মদ নাসিম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের অরাজনৈতিক সমাজিক সংগঠন “বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই”।

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই আহ্বায়ক ও রাজশাহী প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় বলা হয়, ‘করোনা মহামারী চলাকালে দেশবাসীর জাতীয় জীবনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক’দিনের ব্যবধানে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আজীবন আত্মত্যাগী তিন জন বর্ষিয়ান নেতাকে আমরা হারিয়েছি। তাঁরা প্রত্যেকে সর্বশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও গণমুখী রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’

‘জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর সন্তান মোহাম্মদ নাসিম ৭৫ পরবর্তীতে দেশে রাজনৈতিক ধারা ফিরিয়ে আনতে এবং স্বৈরাচারপতন আন্দোলনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেন। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে স্বাধীনাত্তোর বাংলাদেশে প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি জাতীয় চার নেতার পরিবারের কোন সদস্যকে ছাড়া পথচলা শুরু করলো। প্রয়াত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ একজন সজ্জ্বন ব্যক্তি হিসেবে সমাদৃত, সর্বজন শ্রদ্ধেয়।’

শোকবার্তায় সংগঠনের আহ্বায়ক আরো বলেন, ‘সর্বশেষ মৃত্যুবরন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান (ইন্নালিল্লাহি…..রাজিউন। আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি নয়, একজন জনপ্রতিনিধি কেমন হবেন-তা চট্টগ্রামের এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী, সিলেটের বদরউদ্দিন আহমদ কামরানকে দেখলে বোঝা যায়। তাঁরা সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁদের ত্যাগ-তিতিক্ষা দলকে শক্তিশালী করেছে। দেশের রাজনীতিকে গণমুখী করেছিল।

তাঁরা ছিলেন সত্যিকারের এক একজন জনপ্রতিনিধি। জনসম্পৃক্ত থাকার কারণে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় জেল থেকে আওয়ামী লীগের জন্য প্রতিকূল হিসেবে পরিচিত সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হয়ে বদরউদ্দিন আহমদ কামরান দলকে সুসংগঠিত করেছিলেন।

এসকল গুণী ও আজীবন ত্যাগী রাজনৈতিক নেতৃত্বের মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। রাজনীতিহীনতার সংস্কৃতি থেকে ফিরে আসতে যুগে যুগে কালে কালে তাঁরা আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন। তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনাজ্ঞাপন করছি।’

বার্তা প্রেরক: আসলাম-উদ-দৌলা, আহ্বায়ক. অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’ ও সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী প্রেসক্লাব, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.