বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে জনগণের ভোট হবে না : মির্জা ফখরুল

ঢাকা প্রতিনিধি: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে ‘জনগণের ভোট হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেলের এক বছরপূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
গুলশানের একটি হোটেল বিএনপির মিডিয়া সেলের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সেলের এক বছরের কার্যক্রম নিয়ে তথ্য চিত্র তুলে ধরা হয়।
মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এয়ারভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক, ফরহাদ হালিম ডোনার, আবদুল হাই শিকদার, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মিডিয়া সেলের শাম্মী আখতার, মোর্শেদ হাসান খান, রুমিন ফারহানা, কাদের গনি চৌধুরী, ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মীর মোহাম্মদ হেলাল, মওদুদ হোসেন আলমগীর, আলী মাহমুদ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খানস প্রমুখ।
এতে আরও অংশ নেন সমমনা রাজনৈতিক দলের জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্কসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা গণতান্ত্রিক রাজনীতি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চান, সেই সব রাজনৈতিক দল আজকে এক সঙ্গে হয়েছি। আমরা যুগপৎ আন্দোলন করছি। আমাদের লক্ষ্য গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই তা কখনোই মুখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের দলের পক্ষ থেকে ১০ দফা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ২৭ দফা দিয়েছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালে আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম, তার প্রধান বিষয় ছিল গণতান্ত্রিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করা। সেখানে মুক্ত ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখলের পর থেকে সেই জায়গাটিতে প্রথম আঘাত করেছে। সংবাদপত্রের যে স্বাধীনতা তাকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা হয়েছে। দেশের বেশ কয়েকটি প্রিন্টিং মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদলের মুখপাত্র দৈনিক দিনকাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ইলেকট্রনিক চ্যানেল ৩/৪টি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যারা বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, ভিন্ন মত পোষণ করে, সেসব সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
সত্য কথা বলার জন্য বহু সংবাদকর্মীকে নিগৃহীত করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন আগে জামালপুরে একজন সাংবাদিককে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা ঘটলেও মিডিয়া সেভাবে ফোকাস করছে না।
তিনি বলেন, ‘দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক সঙ্কট, এই দেশে গণতন্ত্র নেই। আমাদের গণতন্ত্রের সব প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। গত ১০ বছরে বিভিন্ন কায়দায় তারা এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মিথ্যা মামলায় নির্বাসিত, আমাদের ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। আরও অনেককে হত্যা করা হয়েছে। ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.